মহাকাশ বিজ্ঞানে নয়া অধ্যায়, ছয় মাস পর পৃথিবীর মাটি ছুঁলেন তিন মহাকাশচারী

মহাকাশ বিজ্ঞানে নয়া অধ্যায়, ছয় মাস পর পৃথিবীর মাটি ছুঁলেন তিন মহাকাশচারী

 

বেজিং:  টানা ১৮৩ দিন মহাকাশে থাকার পর তিন চিনা মহাকাশচারী শনিবার উত্তর চিনে অবতরণ করেছেন। এতদিন মহাকাশে চিনে আগে কোনও মহাকাশচারী থাকেননি। মহাকাশ গবেষণায় চিন আমেরিকার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। চিনের মহাকাশ গবেষণায় এই প্রকল্প আমেরিকাকে জোর টক্কর দেবে বলেই চিনা দৈনিকের তরফে দাবি করা হয়েছে।

তিন জন মহাকাশচারী চিনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস ছিলেন। বেজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে একটি ছোট মহাকাশ যানের সাহায্য তাঁরা উত্তর চিনে অবতরণ করেন। মহাকাশচারীর এই তিন জনের দলে দুই জন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিলেন। ঝাই জিগাং, ইয়ে গুয়াং ফু ও  ওয়াং ইয়াপিং মহাকাশে স্কাই ওয়াকের পাশাপাশি বেশ কিছু যন্ত্র মহাকাশে স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত পরীক্ষাও তাঁরা মহাকাশে করেন।

ওয়াং চিনের প্রথম মহিলা হিসেবে গত বছর নভেম্বরে স্পেস ওয়াক করেন। অন্যদিকে তাঁর সহকর্মী ঝাই জিগাং মহাকাশ স্টেশনে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে যন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন। তৃতীয় মহাকাশচারী ইয়ে গুয়াং ফু চিনের বায়ুসেনা বিভাগের পাইলট ছিলেন। ৫৫ বছরের এই মহাকাশচারী ২০০৮ সালে প্রথম চিনা মহাকাশচারী হিসেবে স্পেস ওয়াক করেন।

২০২১ সালের অক্টোবরে তাঁরা চিনের মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছন। ২০২১ সালের এপ্রিলে চিনের এই মহাকাশ স্টেশনকে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। চিনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং -য়ের অর্থ হল স্বর্গীয় সাম্রাজ্য। একাধিক যন্ত্রাংশ মিলিয়ে কক্ষপথে নতুন যন্ত্র প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্যেই মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে ছয় মাস ছিলেন তিন মহাকাশচারী। চিনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং আকারে বেশ বড়। সেখানে মোট ১১ জন মহাকাশচারী থাকতে পারবেন বলে চিনা দৈনিকে জানানো হয়েছে। চিনের এই মিশনটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সময়ে দেশের মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়। চিন মহাকাশ গবেষণায় রাশিয়া ও আমেরিকার সঙ্গে একত্রে কাজ করার অহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, চিন চাঁদে ঘাঁটি তৈরি করতে ইতিমধ্যে একাধিক পরীক্ষা করেছে। চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ২০২৯ সালে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *