বোলপুর: খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করে রণংদেহী মূর্তি ধারণ করলেন আদিবাসীরা। ফলে সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য এদিন গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পিছু হঠতে হল বীরভূমের জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের। কারণ, গ্রামবাসীরা সাফ জানিয়ে দিলেন, মুখের কথা শুনব না, এখানে খনি প্রকল্প হবে না, সেটা লিখিতভাবে জানাক সরকার৷
এদিন সরকারি চেক ও পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি ছিল। যার মধ্য দিয়ে কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করার কথা৷ এই জন্য বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন দেউচা-পাচামি গ্রামে। মথুরাপাহাড়ি গ্রামে হাতে তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পথ আটকান গ্রামবাসীরা৷
তাঁদের দাবি, কয়লা খনি প্রকল্প হবে না, এমনটা লিখিত ভাবে জানাক সরকার৷ মুখের কথা শুনব না৷ এককথায় প্রকল্পের জন্য জমি দিতে নারাজ আদিবাসীদের একটা বড় অংশ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে জেলাশাসক, জেলাপুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের ফিরে আসতে হয়৷ প্রসঙ্গত, এই জট কাটাতে সদ্য আদিবাসী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠকে পরেও বরফ যে গলল না তা এদিন স্পষ্ট ৷ আদিবাসীদের বিক্ষোভে এদিনও কার্যত উত্তপ্তই হয়ে রইল বীরভূমের দেউচা-পাচামি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও, আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ৷ অনিচ্ছুক জমিদাতারা প্রথম থেকেই ‘বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’ মঞ্চ বানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন৷