কলকাতা: একের পর ধর্ষণের ঘটনায় জর্জরিত হচ্ছে বাংলা। নাবালিকা থেকে শুরু করে যুবতী, প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে বৃদ্ধা, সকল বয়সের মহিলারাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের সময় হোক কিংবা হাসপাতালে ভর্তির সময়, অনেকবার ভুলবশত নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে চলে আসে। একদিকে ধর্ষণের কারণে মানসিক চাপ, অন্যদিকে নাম প্রকাশ্যে চলে আসায় সামাজিক লজ্জার ভয়, সব নিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না এমন অবস্থায় থাকতে হয় নিপীড়িতদের। তবে নাম যাতে কোনও ভাবেই সামনে না আসে তা নিয়ে কড়া অবস্থান নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন- মাঠ থেকে উদ্ধার মহিলার নগ্ন নিথর শরীর, ধর্ষণ করে খুন? তপ্ত পিংলা
কলকাতা হাইকোর্টের এমনিতেই নির্দেশ আছে যে, কোনও ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সেই নির্দেশই যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তার জন্যই কড়া অবস্থান নিল রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল যে, নাবালিকা এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে। সেখানে কী করা হবে।
এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, মুখবন্ধ করা খামে গোটা রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নাম যাতে কোনও ভাবেই বাইরে না আসে তা খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে জানান হয়েছে, শারীরিক পরীক্ষা করাতে এলেও কোনও নির্যাতিতার নাম লেখা চলবে না। তা সে ধর্ষণ হোক কিংবা শ্লীলতাহানি। তবে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে সম্মতিপত্র প্রয়োজন। সেখানে নির্যাতিতার নাম লিখতেই হয়। তাই সম্মতিপত্র মুখবন্ধ খামে জমা করার নির্দেশ।