লোকাল ট্রেনে হকারি এমএ পাস মেয়ের! বৃষ্টির সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন শ্রীলেখা

লোকাল ট্রেনে হকারি এমএ পাস মেয়ের! বৃষ্টির সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন শ্রীলেখা

511049745931b5febb3e3238ed397611

কলকাতা:  শিক্ষার ঝুলি পরিপূর্ণ তাঁর৷ ভুগোলে এমএ করার পর পাশ করেছেন বিএড৷ কিন্তু,  শিক্ষার ডিগ্রিগুলি বন্দী রয়েছে মুখ বন্ধ ফাইলে৷ যোগ্যতা থেকেও জোটেনি চাকরি৷ ভাগ্যের ফেরে বৃষ্টি এখন লোকাল ট্রেনের হকার৷ ট্রেনের কামরায় নিত্যযাত্রীদের কাছে পোশাক বেচেই চলে তাঁর সংসার৷ সম্প্রতি ‘আজবিকেল’-এর পাতায় প্রকাশিত হয় খবরটি৷ যা রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে নেটপাড়ায়৷ এই খবরের ভিডিয়ো দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনত্রী শ্রীলেখা মিত্র। 

আরও পড়ুন- নামখানা ধর্ষণ মামলার দায়িত্বও পেলেন দময়ন্তী, সিবিআইয়ের রাস্তাও খোলা

নিজের ফেসবুক পেজে আজবিকেল.কম-এর ভিডিয়োটি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘‘সুপ্রিয়া পাল বৃষ্টি আরও একজন, যিনি এমএ পাশ করে এখন ট্রেনে ট্রেনে জামাকাপড় ফেরি করে বেড়ান।’’  বৃষ্টির এই দুর্দশার জন্য শাসক শিবিরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শ্রীলেখা৷  তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিয়ে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘‘ঠিক আছে, আমার মনে হয় চপ শিল্প, ঘুঁটে শিল্পর রাজ্যে বেশি ট্যা ফু করলে যদি ঘ্যাচাং ফু হয়ে যায়, তাই চুপ করলাম৷ বাকিটা আপনারা দেখে বুঝে নিন৷ আমি আর কত..৷’’ বৃষ্টি যে রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল দশার জলজ্যন্ত প্রতীক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর লড়াইয়ের সঙ্গী আজ লোকাল ট্রেনের কামরা৷ তবে তিনি সৎ পথে লড়াই করছেন৷ তার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে মানুষ৷ 

প্রতিদিন সকালে বাড়ির কাজ সামলে সাবড়াকোণ থেকে বাসে করে পিয়ারডোবা স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে কোনওদিন মেদিনীপুর, আবার কোনওদিন বাঁকুড়া পর্যন্ত যান। তাঁর কাছে মূলত শিশু ও মেয়েদের পোশাকই পাওয়া যায়৷ লোকাল ট্রেনের ডেলি প্যাসেঞ্জারাই বৃষ্টির মূল ক্রেতা। বৃষ্টির আসল নাম তবে সুপ্রিয়া পাল৷ কিন্তু যাত্রীদের কাছে তিনি বৃষ্টি নামেই পরিচিত৷ এই সংগ্রামী মেয়ের জীবন যুদ্ধের কথা জানার পর শ্রীলেখা  বলেন, ‘‘এই গল্পগুলো লোকের জানা দরকার৷ সেই জন্যেই শেয়ার করেছি৷ কোনও কাজ ছোট নয়৷ শিক্ষিত হয়েও মেয়েটি এই কাজ করছেন৷ ওঁকে আরও উদ্বুদ্ধ করা দরকার৷ ও স্বাধীনভাবে ব্যবসা করছে, সেখানেও ওঁর পড়াশোনাটা কাজে লাগছে৷’’ শ্রীলেখা কথায়, ‘‘লোকে দুঃখ দুঃখ একটা ইমোজি দেয় না.. যেন খুব দুঃখ পাচ্ছে৷ ওটা না করে ওকে ইন্সপায়ার করা উচিত৷ এটা সরকারের দেখা উচিত যে শিক্ষিত লোকজন এখন চায়ের দোকান দিচ্ছে৷ ট্রেনে জামাকাপড় বিক্রি করছে৷ এগুলো তৃণমূল সরকারকে ট্যাগ করা উচিত৷’’