কলকাতা: গরমে নজেহাল সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন। আবহাওয়া দফতর এই পরিস্থিতিতেও কোনও আশার আলো দেখাতে পারল না। আগামী দুই থেকে তিন দিন আবহাওয়ার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন একই রকম গরম থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। দু এক জায়গায় নামমাত্র বৃষ্টি হলেও বদল হবে না তাপমাত্রার। সোমবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা চল্লিশের সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যেই বাঁকুড়ায় নামমাত্র বৃষ্টি। বাঁকুড়ায় মাত্র আট মিনিটের বৃষ্টি হয়। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে আজও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা যায়। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমের জেলাগুলো যেমন, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপপ্রবাহ চলবে। মে মাসের শুরু থেকে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের মতো নাজেহাল অবস্থা উত্তরবঙ্গে নয়। উত্তরবঙ্গের একাধিক অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। অন্যদিকে, অস্বস্তিকর গরমের জেরে রাজ্য সরকার গ্রীষ্মের ছুটি ২ মে এগিয়ে এনেছে। তবে এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বেশি। সেখানকার স্কুলগুলোতে ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হোক। উত্তরবঙ্গের তো সেই অবস্থা নয়, তাহলে এখানকার স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার কারণ কী।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে কিছু হলে দেখতে আসার লোক পাওয়া যায় না। এই ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দেখে আমারও মনে হয়েছে, উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রত্যেককে একত্রিত হয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি জানানো উচিৎ।’