‘তৃণমূলে গঙ্গা জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে গিয়েছে’, পোস্ট মুছে বিতর্ক এড়ালেন দেবাংশু!

‘তৃণমূলে গঙ্গা জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে গিয়েছে’, পোস্ট মুছে বিতর্ক এড়ালেন দেবাংশু!

কলকাতা:  তৃণমূল সরকারের ১১ তম বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দেবাংশু ভট্টাচর্য। তিনি গত বছর ঠিক পয়লা মে পর্যন্ত রাজ্যের তৃণমূলকে নিষ্কলুষ বলে উল্লেখ করেন। ফেসবুকে দেবাংশু ভট্টাচর্যের এই মন্তব্যের জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কের জেরে দেবাংশু পোস্টটি সরিয়ে নেন। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দেবাংশু নতুন একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। 

কী লিখেছেন দেবাংশু ভট্টাচর্য? আগের বছর ২মে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। সেই প্রসঙ্গে দেবাংশু ভট্টাচর্য লেখেন, ‘গত বছর ঠিক আজের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ। ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল। গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার। তবুও দলের একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে হলেই বিশ্বাস। তাঁরা পেছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করেন দলের কর্মীরা।’ 

বিতর্কিত পোস্ট
বিতর্কিত পোস্ট

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবাংশু ভট্টাচর্য বলেন, ‘আগের বছর ২ মে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছিল। ১ মে পর্যন্ত যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেছেন স্বাভাবিকভাবেই সেটা তো দলের একটা ক্রিম লেয়ার।  তৃণমূলের বিধানসভা নির্বাচনের জয়ের পর অনেকেই দলে যোগ দিয়েছেন। আমাদের দলের একটা স্ট্রং ফিলটার সিস্টেম রয়েছে। কর্মীরা বিশ্বাস করেন, ১ মে অবধি দলে তাঁরা যে জায়গায় ছিলেন, সেখানেই থাকবেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মীদের ওপরেই দলটি টিকে রয়েছে বলে দেবাংশু ভট্টাচর্য মনে করেন। 

হঠাৎ এই ধরনের পোস্ট কেন প্রসঙ্গে দেবাংশু ভট্টাচর্য বলেন, ‘হঠাৎ নয়। আজকে ১ মে। গত বছরের কথা মনে করেই এই পোস্ট করেছিলাম। সেই সময় তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে কি না, সেই বিষয়ে কেউ নিশ্চিত ছিল না। তারপরেও যাঁরা এই দলকে সমর্থন করে গিয়েছেন, যাঁরা দলের জন্য কাজ করে গিয়েছেন, তাঁরাই দলের সম্পদ।’ 

এই পোস্টের পর জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পোস্টটি সরিয়ে দেন দেবাংশু ভট্টাচর্য। পাল্টা একটি পোস্ট করে দেবাংশু ভট্টাচর্য লেখেন, ‘শেষ পোস্টের অর্থ হয়তো ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সকলকে নিয়ে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *