বহরমপুর: প্রেমের সম্পর্কে ‘না’ করার চূড়ান্ত পরিণতি হল কলেজছাত্রীর৷ কুপিয়ে খুন করা হয় সুতপা চৌধুরী নামে ওই যুবতীকে৷ সোমবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে৷ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত৷ রাত ১০টা নাগাদ সমশেরগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সুশান্ত চৌধুরী নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা৷
আরও পড়ুন- শাহের বঙ্গ সফরের আগেই বড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে, পদত্যাগ ১৫ নেতার
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, সুতপার সঙ্গে এক সময় সুশান্তের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, সম্প্রতি সুতপা ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন৷ এর পরেই ‘প্রতিশোধ’ নিতে সুতপাকে খুন করে সুশান্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্তর কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যেই রাখা ছিল রক্ত মাখা ব্লেড আর ছুরি। তার কাছ থেকে একটি বন্দুকও উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে সেটি খেলনা বন্দুক বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
রাত ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার কে শবরী রাজ কুমার জানান, ধৃত অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। কী ভাবে সে খুনের পরিকল্পনা করল, এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কাছে খবর আসে। ঘটনাস্থল থেকে সুশান্ত যেখানে যেখানে গিয়েছে, সেই জায়গার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জ থানার সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করেছিলাম।’’ মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতে তোলা হবে ধৃতকে৷ তাকে হেফাজতে চাইবে পুলিশ৷
বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সুতপা৷ তাঁর বাড়ি মালদহের ইংরেজ বাজারে। তবে তিনি বহরমপুরের গোরাবাজারে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দুই যুবক তাঁর মেসের সামনে আসে। তাঁকে বাইরে আসতে বলে৷ সুতপা বাইরে এলেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় সুশান্ত৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরও বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় হামলাকারীরা৷ এর পরে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>