নয়াদিল্লি: ইউনেস্কোর-র স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো৷ ইউনেসকো-র ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বাংলার শারদোৎসবকে। এই স্বীকৃতিকে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ অথচ দুর্গোপুজোর আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ডাক পেল না খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারই। যে রাজ্যের প্রধান উৎসবের জন্য আয়োজন, ব্রাত্য রাখা হল সেই রাজ্যকেই। শুক্রবার সন্ধেয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ কিন্তু এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণপত্র জানানো হয়নি৷ অনুষ্ঠানে বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশের আসন আলোকিত করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আরও পড়ুন- রাতভর ঘুম নেই, লকআপে অস্থির হয়ে উঠছে সুশান্ত, এখনও আসেননি বাড়ির কেউ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে হতবাক বাংলার বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্য এবং শিল্পীরা। যে রাজ্যের দৌলতে ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি, সেই রাজ্যের কোনও প্রতিনিকেই ডাকা হল না৷ এতো রাজ্যের মানুষের অপমান৷ অভিযোগ করেছেন অনেকেই। ২০২১-এর ডিসেম্বর মাসে বাঙালির দুর্গাপূজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ-র সম্মান প্রদান করে ইউনেসকো। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপূজোকে আন্তর্জাতিক আসনে বসাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে আবেদন করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবেদন বিবেচনা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা হেরিটেজ তকমা দেয় বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চেই ঠাঁই হল না বাংলার কোনও প্রিতিনিধির৷ ডাক পেল না কোনও পুজো কমিটি৷ অথচ ডাক পেলেন রাজ্যপাল৷
অনেকেই বলছেন, রাজ্যপাল ধনকড় বাঙালি নন৷ তিনি কী ভাবে বাঙালির ঐতিহ্যের কথা মঞ্চে তুলে ধরবেন? আমন্ত্রিত শিল্পীদেরও দাবি, অনুষ্ঠানে দুর্গাপুজো নিয়ে কথা বলার এক মাত্র অধিকার রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনা বাঙালিকে অপমান করার জঘন্য প্রচেষ্টা বলেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>