কলকাতা: নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করা হয়৷ মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের হয়ে এই আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন- ৩৫ বছর লড়াইয়ের পর জয়! বকেয়া বেতন সুদ সমেত পাবেন ৭৬-এর শিক্ষিকা
আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের দাবি, হাঁসখালিকাণ্ডে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। প্রথমে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। এর পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে বাধা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষপণে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। মৃত্যুর পরেও সুবিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। নির্য়াতিতা নাবালিকার পরিবার পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত জানাতে যেতে পারেনি। এমনকী কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়া তার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার হরণের এমন ভয়ানক উদাহরণ খুঁজে বার করা কঠিন। তাই এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক৷
গত মাসের গোড়ার দিকের ঘটনা৷ নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। ওই নির্যাতিতার মৃত্যুর পর রাতারাতি তার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দেয়। ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্রজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা হয়েছে পকসো আইনেও।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>