কলকাতা: বুধবার সন্ধ্যায় মা উড়ালপুল থেকে মরণঝাঁপ বৃদ্ধের। স্কুটার থামিয়ে মা উড়ালপুল থেকে পরমা আইল্যান্ডের দিকে ঝাঁপ দেন বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রৌঢ়ের এই সিদ্ধান্তে হতবাক পরিবার।
বুধবার রাত্রি নয়টার সময় অন্যান্য দিনের মতো ব্যস্ত ছিল মা উড়ালপুল। সেই সময় স্কুটারে আসা এক প্রৌঢ় আচমকা স্কুটার থামিয়ে দেন। মা উড়াল পুলের প্রাচীরে উঠে মরণঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। বাইপাস লাগোয়া পাঁচ তারা হোটেলের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে আসেন। প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের নাম অশোক ঘোষ। তিনি চেতলার বাসিন্দা। মৃতের মেয়ে বলেন, বুধবার সন্ধেবেলা মেয়েকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন বাবা। তিনি মেয়েকে বলেছিলেন, ডাক্তার দেখানোর জন্য স্কুটার নিয়ে যাবেন। বাবা স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা দুইয়ের মধ্যে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মেয়ে। বাবার মৃত্যুর খবর আসার সময় তাঁর মা একটি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৯ বছরের অশোক বাবুর মেয়ের বিয়ে সামনের বছর ঠিক হয়েছে। কিছুদিন আগেই পুরুলিয়া গিয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে এসেছেন। সামনেই পরিবারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। তিনি কেন আত্মহত্যা করেছেন, সেই নিয়ে ধন্দ্বে পরিবারের সদস্যরাও। বাড়িতে সম্প্রতি কারও সঙ্গে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি। তারপরেও তিনি কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন, তা বুঝতে পারছেন পরিবার থেকে পরিবার।