দিঘা: ফের পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু৷ যার জেরে শনিবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল সৈকত নগরী দিঘার হোটেলে৷ সূত্রের খবর, হোটেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের৷ এমনটাই দাবি, তার সঙ্গীদের৷ পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম আব্দুল আলিম (২২)। বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর থানার বদাইয়ে। মৃত যুবক পেশায় কারখানা শ্রমিক।
শুক্রবার বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় আসেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের ওই দলে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াও রয়েছে। নিউ দিঘার একটি হোটেলে উঠেছিল তারা। অন্য অন্য বন্ধুরা ঘুমাতে চলে যান। সঙ্গীদের দাবি, কখন কি ঘটেছে ঠিক জানা নেই তাদের৷ এক সঙ্গীর কথায়, ‘‘ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ সূর্যোদয় দেখতে যাওয়ার জন্য উঠি। আলিমকে ডাকতে গিয়ে দেখি ও ঘরে নেই। খোঁজাখুঁজি করে নীচে পড়ে থাকতে দেখি।’’ ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিঘা থানার পুলিশ। বন্ধুদের আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীদেরও৷
অন্যদিকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদা থানার মঙ্গলবাড়ি এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম সফিকুল সবজি(২৩)। পরিবারের রয়েছে বাবা মুস্তাক সবজি। বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বক্কাতুলি এলাকায়। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই যুবক অন্যান্য দিনের মতো। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করে আত্মীয়র বাড়িতে। অবশেষে আজ সকালে মঙ্গলবাড়ী এলাকার মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার ভেসালের বাঁশে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। মৃতদেহ দেখতে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। খবর দেওয়া হয় পুরাতন মালদা থানার পুলিশকে।
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের এক আত্মীয় জানান, গত কালকে এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকের অনুমান চোরের অপবাদ সহ্য করতে না পেরে হয়তো সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।