কলকাতা: রাজনীতির টানাপোড়েনে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়েছে আগেই৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলেছে তিক্ততায়৷ রাজনীতির রণাঙ্গনে একে অপরকে বহুবারই নিশানা করেছেন তাঁরা৷ এবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল৷ তাঁর দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সৌমিত্র৷ শুধু তাই নয়, সৌমিত্র তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের হুমকি দিতেন বলেও দাবি তাঁর৷
আরও পড়ুন- ছোট বয়সেই দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিজ্ঞা, মাতৃ দিবসের আগে মা পুজো পড়ুয়াদের
প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ তুলেছেন সুজাতা? এদিন বোমা ফাটিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে সৌমিত্রর কাছে এত সম্পত্তি ছিল না৷ এত অল্প সময়ের মধ্যে দিল্লি থেকে দুর্লভপুর, কলকাতা, এত বিপুল সম্পত্তি এল কোথা থেকে! ও ভালোভাবেই জানে ওঁর সমস্ত বেআইনি কারবারের হিসেব আমার কাছে রয়েছে, তাই আমাকে CBI-এর হুমকি দিত।’’ এখানেই শেষ নয়৷ সৌমিত্রর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও এনেছেন সুজাতা৷ তাঁর দাবি, ‘‘চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা তুলেছিল সৌমিত্র। আমাকে ভয় দেখাত। কিন্তু, আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা। আমার লোকানোর মতো কিছু নেই। নিজের নামে কোনও সম্পত্তি নেই। থাকি বাবার বাড়িতে। আমি মৃত্যুকেও ভয় পাই না।’’ সুজাতার কথায়, ‘‘অবৈধ সম্পত্তির জেরেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে সৌমিত্র।’’
যদিও সুজাতার এই মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সৌমিত্র৷ দিন কয়েক আগও সৌমিত্রকে তুলোধোনা করে সুজাতা বলেছিলেন, ‘‘টেরাকোটা নগরীর দলবদলকারী চরিত্রহীন। সাংসদ নিজের এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে না থেকে দিল্লির ঘরে বিধবা মহিলাকে লোক দেখানো সিঁদুর পরিয়ে ফুর্তি করছে আর দলের রাজ্য নেতাদের দোষারোপ করে যাচ্ছে।” সৌমিত্রকে বিঁধে সুজাতা বলেছিলেন, মেয়েদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কেউ নোংরামি করতে, একদিন তা প্রকাশ পাবেই৷
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা৷ যার জেরে বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন সৌমিত্র৷ সেই সময় সাংবাদিক বৈঠকে কেঁদে ফেলেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ চোখের জলে ভেসেছিলেন সুজাতাও৷ তবে আপাতত তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ একে অপরের বিরুদ্ধে তাঁরা খড়্গহস্ত৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>