কলকাতা: তবে কি সৌরভপত্নী, নৃত্য শিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও এবার রাজনীতির ময়দানে। অর্থাৎ দাদার সঙ্গে এবার রাজনীতির ময়দানে তাঁর স্ত্রীও? বস্তুত, রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে উঠে আসছে ডোনার নাম৷ সস্ত্রীক সৌরভ এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু না বললেও জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, ‘‘ভাল কথা। বাংলা থেকে যদি কাউকে চয়ন করা হয় তাহলে ভালই হবে!’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন: দিলীপ সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলেননি৷ আবার ‘না’ও বলেননি৷ যার জেরে জল্পনা বাড়াটাই স্বাভাবিক৷ দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য জানাচ্ছে, ডোনার রাজ্যসভায় সদস্য হওয়া প্রায় পাকা। তবে শেষ মুহূর্তে যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে তাই পুরো বিষয়য়টি আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। ওই মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘মহারাজে’র বিজেপি যোগের সম্ভবনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু আগেভাগেই যেভাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছিল এবং দাদা রাজনীতিতে এলে তার সুফল ও কুফল নিয়ে যেভাবে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছিল তাতে কার্য কিংকর্তব্য বিমুঢ় অবস্থা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের৷ তবে শেষ মুহুর্তে রাজনৈতিক ব্যাট হাতে আর নামা হয়নি সৌরভের৷
এবারে কি হবে? জুম্মাবারের সন্ধ্যায় কেন্দ্রের তরফে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিন অনুষ্ঠানে ডোনার নৃত্য পরিবেশন, রাতে গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে অমিত সহ বিজেপি নেতাদের শাহী নৈশভোজে যোগদান তাতে বাড়তি ঘি ঢেলেছে৷ এদিকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বাংলা থেকে যাওয়া রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্তর মেয়াদও শেষের পথে৷ ফলে নয়া নাম হিসেবে ডোনার নাম সামনে আসছে৷ যদিও এই বিষয়ে সস্ত্রীক সৌরভ এখনও স্পিকটি নট৷ তবে দিলীপের এদিনের মন্তব্যের জেরে সেই জল্পনা আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
একই সঙ্গে বাংলার আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্য এদিন ফের রাজ্যকে দুষেছেন দিলীপ৷ অভিযোগ করেছেন, ‘‘যত সমাজ বিরোধী ছিল, সব তৃণমূলের ছাতার তলায় চলে এসেছে৷ কারণ ওখানে গেলে করে খাওয়া যায় খাওয়ার জায়গায় টানাটানি হচ্ছে, তখন বন্দুক দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ পরিস্থিতির জন্য দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ দিলীপের অভিযোগ, ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি ফেলিওর৷ তাই দুষ্কৃতিকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যোগ্য পুলিশ অফিসারদের কাজ করার ক্ষমতা, অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ হাত তুলে বসে আছে সাধারণ মানুষকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।’’
বস্তুত, রবিবার সন্ধ্যেয় চাকদহ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি চাকদা থানার গৌড়পাড়া এলাকায়৷ জানা যাচ্ছে, তিনি বাড়িতেই ছিলেন৷ কয়েকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন৷ হঠাৎ করে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢোকে এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ ওই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপের অভিযোগ, ‘‘শঙ্কর সিংয়ের ছেলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে৷ পুলিশ তদন্ত করলেই সামনে আসবে প্রকৃত তথ্য৷’’