কলকাতা: প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতা হচ্ছে প্রতারণার জাল৷ কী ভাবে প্রতারণার ফাঁদ থেকে নিজেদের বাঁচাবেন? সচেতন করল কলকাতা পুলিশ৷
আরও পড়ুন- মমতাকে বাংলা আকাদেমির পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ, ইস্তফা দিলেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস
কী ভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা?
সাধারণত যাঁকে বা যাঁদের টার্গেট করা হয়, প্রথমেই তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার উদ্যোগ নেয় প্রতারকরা৷ একবার বন্ধু হয়ে গেলেই শুরু হয় বিশ্বাস অর্জনের কৌশল৷ এরপর নানা অছিলায় তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য জেনে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। পাশপাশি বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্য নিয়েও প্রতারকরা সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে৷ ফলে সেক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে৷
অতীতেও একাধিক ঘটনার উদাহরণ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বাস্তব ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছিল, কী ভাবে সামান্য কিচেন চিমনি কেনার নামে প্রতারিত হতে হয়েছে আমআদমিকে। কলকাতা পুলিশ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এবিষয়ে বারবার সচেতন করেছে৷ অনলাইনে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পোস্টে কী জানানো হয়েছে?
বুধবার সন্ধেয় মূলত একটি ইমেজ পোস্ট করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। তাতে জানানো হয়েছে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার আগে কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।
সেখানে বলা হয়েছে, যে প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে, সেই প্রোফাইলটি আগে ভালো করে দেখুন। সেখানে সন্দেহজনক কোনও কিছু নজরে এলে কোনও ভাবেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না। এছাড়াও ওই প্রোফাইলে যাঁরা মিউচুয়াল ফ্রেন্ড রয়েছেন, তাঁদের ভালো ভাবে দেখুন। প্রয়োজনে মিউচুয়াল ফ্রেন্ডদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলে নিতে পারেন৷ যদি সঠিক মনে হয় তবেই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করুন।
অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলে কী সমস্যা হতে পারে?
প্রতারকরা অনেক সময় আপনার প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে৷ তাই অপরিচিতদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকাই ভালো৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>