কৃষ্ণনগর: দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। সঙ্গে ঝোড়ো হওয়ার কারণে জমিতেই পড়ে গেছে ধান গাছ। যার কারণে একহাঁটু জলের নিচে ডুবে আছে ধান।
নদিয়া জেলা কৃষি প্রধান জেলা। নদীয়ার করিমপুর, তেহটটো, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপরা থেকে শুরু করে শান্তিপুর, রানাঘাট, চাকদহ সহ একাধিক বিস্তীর্ণ গ্রাম এলাকায় হাজার হাজার বিঘা ধান চাষ হয়। মূলত এই সময় চাষিরা বোরো ধান কেটে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। প্রচুর টাকা খরচ করে তারা ধান চাষ করে। কিন্তু দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত চাষিদের৷
চাষিরা বলেন, দীর্ঘক্ষণ জলের তলায় ধান ডুবে থাকলে সেই ধানে কল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার কারণে ইতিমধ্যেই কল হতে শুরু করেছে ধানে। পাশাপাশি জলের তলায় পড়ে থাকলে যে বিচুলি দিয়ে সারা বছর গরুর খাবারের জোগান থাকে, সেই বিচুলি নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে এই সময় জন শ্রমিকের অভাব দেখা যায়। মজুরি বেশি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যায় না। যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও তড়িঘড়ি ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারে না চাষিরা।
চাষিরা জানিয়েছেন, দু’দিনের বৃষ্টিতে যে পরিমাণ জল জমে জমে আছে কোনভাবেই সেই ধান আর তারা বাড়িতে তুলে আনতে পারবে না। যদিও শ্রমিকের সংখ্যা বেশি নিয়ে কোনরকম ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসে তাহলে বিচুলি হবে না। পাশাপাশি যে অর্থ খরচ করে ধান চাষ করা হয় সেই অর্থ উঠে আসবে না। সেই কারণে আগামী দিনে কিভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে নদীয়ার ধান চাষিরা৷ তাঁরা সকলেই সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন৷