কাঁথির অধিকারী বাড়িতে দিলীপ ঘোষ, ‘বিরক্ত’ শুভেন্দুর ভাই যা বললেন

কাঁথির অধিকারী বাড়িতে দিলীপ ঘোষ, ‘বিরক্ত’ শুভেন্দুর ভাই যা বললেন

 

কাঁথি: তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর অম্লমধুর সম্পর্ক কারও অজানা নয়৷ সেই দিলীপ ঘোষ শুক্রবার একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন কাঁথি আদালতে৷ সেখান থেকে পরে অধিকারী পরিবারের শান্তিকু়ঞ্জের বাড়িতেও যান৷ যদিও ঘোষবাবুর এহেন আগমনে অধিকারী পরিবারের সেজো সদস্য যে সন্তুষ্ট নন, সেটা এদিন হাবেভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের ‘তৃণমূল সাংসদ’ দিব্যেন্দু অধিকারী৷

তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি কারও বাড়িতে যায় তাকে তাড়িয়ে দেবেন নাকি? বিগত দিনে কি আমার বাড়িতে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের লোক আসেনি! সিপিএমের জ্যোতি বসুর আমলে অনেক তাবড় নেতারা আমাদের বাড়িতে এসেছেন।’’ এরপর তিনি বলেন, ‘‘মধ্যাহ্নভোজন হবে নাকি শরবত খাওয়ানো হবে তা আমি জানি না! বাড়িতে মানুষ গেলে চা খাওয়ানো হয়, তা খাওয়ানো হবে!’’ যা শুনে রাজনৈতিক মহল বলছে, দিলীপের আগমনে দৃশ্যতই বিরক্ত ছিলেন দিব্যেন্দু৷

বস্তুত, ২০১৯ সালে কাঁথির একটি মামলায় দিলীপ ঘোষের নামে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখা, বন্ধুক রাখা সহ একাধিক ধারায় ১১ টি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলা দীর্ঘদিন কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজিরা না দেওয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় দিলীপ ঘোষের নামেই। শুক্রবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন দিলীপ ঘোষ। পরে শান্তিকুঞ্জে অধিকারী পরিবারের বাড়িতে যান তিনি৷ বেশ কিছুক্ষণ সেই বাড়িতে ছিলেন তিনি৷

ঘটনাচক্রে এদিন একটি মামলায় কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আদালত থেকে হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। তার বক্তব্যে বলেন, “কী মামলা ছিল আমি জানি না। ২০০১ সালের মামলা মনে থাকে নাকি! কী মামলা ছিল আদালত বলতে পারবে! আদালতে হাজির হলাম, জামিন নিলাম, চলে এলাম! মামলা আমার জানা নেই।’’

মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এমপি এমএলএ মামলা পেশাল কোর্টে চলে যাওয়া উচিত ছিল!’’ সেখানেই তাঁকে জানতে চাওয়া হয় দিলীপ ঘোষের আদালতে হাজিরা দেওয়া নিয়ে৷ যার জবাবে ‘বিরক্ত’ দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ কেন আদালতে এসেছিলেন আমি করে বলব!’’ দিলীপের প্রতি দিব্যেন্দুর এমন আচরণে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *