বাঁকুড়া: একসময় টিকার জন্য শুরু হয়েছিল হুড়োহুড়ি৷ এখন টিকা আছে৷ অথচ নেওয়ার লোক নেই৷ এমনই হাল জঙ্গলমহলের অন্যতম হাসপাতাল বাঁকুড়ায়৷
এবিষয়ে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (৩) ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার বুস্টার ডোজ রয়েছে। কিন্তু উপভোক্তার সংখ্যা এর চেয়ে যথেষ্ট কম। আগামী জুলাই-অগস্টের র মধ্যে ওই ডোজের একটা অংশের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে যাবে।’’ এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবনকে আপাতত টিকা না পাঠানো ও একই সাথে এখানে জমা থাকা টিকা অন্যত্র কাজে লাগানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বস্তুচ, করোনা বিদায় নিয়েছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা৷ কারণ, বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে সংক্রমণের দাপট৷ তবু করোনারপ্রথম টিকা নেওয়ার সময় মানুষের মধ্যে যে ক্ষিপ্রতা ছিল, সেটা দ্বিতীয় বা বুস্টার়ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যেই নেই৷ ফলে প্রচার অভিযান চললেও সেই অর্থে হাসপাতালে টিকা নিতে আসছেন না অনেকেই৷
সূত্রের খবর, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় ষাটোর্দ্ধ মানুষের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে মাত্র ৪৭ হাজার জন প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে উৎসাহ ছিল বর্তমানে তা অনেকটাই স্তিমিত। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ন’মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে৷ বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শ্যামল সরেন বলেন, ‘‘প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজ বা ষাটোর্দ্ধদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ ঠিক ততটাই কম। দ্বিতীয় ডোজ ৫০ শতাংশ দেওয়া গেলেও বুস্টার ডোজ শতাংশের হিসেবে আরও কম।’’ তবু ধারাবাহিকভাবে আমরা সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি৷