সাপে কামড়ানো রোগীদের চিকিৎসার নতুন অধ্যায়, এবার থেকে দেওয়া হবে ট্যাবলেট

সাপে কামড়ানো রোগীদের চিকিৎসার নতুন অধ্যায়, এবার থেকে দেওয়া হবে ট্যাবলেট

কলকাতা:  গ্রামের দিকে সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। একটি সরকারি তথ্য বলছে, প্রতি বছর প্রায় ৩০০ রোগী সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। যদিও বেসরকারি মতে সেই হিসেবটা অন্য রকম। প্রতি বছর সাপের কামড়ে প্রায় তিন হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে সাপের কামড়ের চিকিৎসা শুরু হলেও, একটা পর্যায়ের এখনও গবেষণার স্তরে রয়েছে। সাপে কামড়ানোর রোগীর চিকিৎসায় ট্যাবলেট ব্যবহার নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নতুন করে গবেষণা শুরু হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ক্যানিংয়ের এক যুবককে সাপে কামড়ায়। তাঁকে নিয়ে আসা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই সাপে কামড়ানো রোগীকে ২৫০ মিলিগ্রামের দুটো ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এভাবেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সাপে কামড়ানোর রোগীর চিকিৎসার নতুন অধ্যায় শুরু হল। এই ওষুধের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল আমেরিকায় সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আমেরিকার সঙ্গে ভারতে শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমেরিকার চারটি হাসপাতালে ও ভারতে চারটে হাসপাতালে সাপে কামড়ের রোগীদের এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

এই গবেষণায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার বলেন, বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যাণ দেখলে বোঝা যায়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সাপে কামড়ে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেই কারণে ট্রায়ালের জন্য বা গবেষণার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

ভারতের যে চারটি হাসপাতালে এই গবেষণাগুলো চলছে, চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসা্র্চ। রাজস্থানের এসপি মেডিক্যাল কলেজ। পণ্ডিচেরীর জহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। 
সাধারণত সাপের কামড়ের চিকিৎসা অনুযায়ী অ্যান্টি স্নেক ভেনম দেওয়া হয়। একসময় বাংলায় অ্যান্টি স্নে ভেনম তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমানে দক্ষিণ ভারতে অ্যান্টি স্নেক ভেনম তৈরি হয়। কিন্তু দুই জায়গায় সাপের প্রজাতি আলাদা। তাই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি স্নেক ভেনম দিয়েও অনেক সময় রোগীকে বাঁচানো যায় না। বর্তমানে রোগীদের ওপর ভ্যারেসপ্ল্যাডিব মিথাইল ট্যাবলেট গবেষণার জন্য দেওয়া হচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + eleven =