নদীয়া: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হল ১০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বৈদ্যনাথের মেলা। দুই দেশের মেলবন্ধন ঘটে এই মেলার মধ্য দিয়ে। যদিও দেশভাগের আগে এই মেলাটি বাংলাদেশে হত। পরবর্তীকালে দেশ বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর মেলাটি ভারতের সীমান্তে হয়।
জানা যায় নদীয়ার চাপড়া থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হৃদয়পুরে এই বৈদ্যনাথের মেলা হয়। কথিত আছে পূর্বে যখন দেশ বিভক্ত হয়নি তখন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাসিন্দারা মিলিতভাবে এই বৈদ্যনাথের পুজো করতো। পরবর্তীকালে দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বৈদ্যনাথের পুজো হয়। জানা যায় বাংলাদেশের মাটি নিয়ে এসে হৃদয়পুরে একটি বৈদ্যনাথ মন্দির স্থাপিত হয়। পরবর্তীকালে সেই মন্দিরেই বৈদ্যনাথের পূজা-অর্চনা হয়ে থাকে। জ্বালা যায় দেশভাগের পরেও বহু বাংলাদেশের ভক্তরা বিশেষ করে মহিলারা বৈদ্যনাথের পূজা উপলক্ষে শামিল হতে।
বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু কিছু ভক্তরা বৈদ্যনাথের মেলায় এলো আগের তুলনায় অনেক কম। পুরনো রীতি নীতি মেনে এখনো বৈদ্যনাথের পুজো হয়ে থাকে ওই মন্দিরে। বিশেষ করে মহিলারা এই পূজার্চনা করে থাকেন। তবে উদ্যোক্তারা জ্বালাচ্ছেন করোনার কারণে বেশ কয়েক বছর সেভাবে জাঁকজমক করে পুজো হয়নি। এবছর পুনরায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম চলছে বৈদ্যনাথের পুজো এবং সেই উপলক্ষে মেলা।