প্রমাণ লোপাট করতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে স্কুলে প্রধান শিক্ষক, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রমাণ লোপাট করতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে স্কুলে প্রধান শিক্ষক, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

চন্দননগর: প্রমান লোপাট করার উদ্দেশ্যে রাতে অন্ধকারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্কুলে ঢুকলেন প্রধান শিক্ষক। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকাকে মানসিক নির্যাতন এবং প্রাপ্য না দিয়ে হেনস্তা এবং বিনা কারণে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা।  চলতি বছরের ১১ মে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সরানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু  তারপরও এই মামলার সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের লোপাট করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত রবিবার স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্কুলে ঢোকেন প্রধান শিক্ষক। এবার সেই ঘটনায় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাকে জেরা করতে হবে। তদন্ত রিপোর্ট ৭ জুন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে হুগলি ভদ্রেশ্বরের শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা তাঁর প্রতি হওয়া অবিচারের কথা জানান। জানা গিয়েছে, সুনীতা শর্মা ২০১৬ সাল থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত। কিন্তু ঘটনা জানার পর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিক তাঁর ওপর মানসিক নির্যাতন করেন। শুধু তাই নয়, সুনীতা দেবীকে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ ছুটি থেকে বঞ্চিত করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। গ্রেড পে বৃদ্ধির বিষয়টি শিক্ষিকার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক এড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি বিনা নোটিশে শিক্ষিকার বেতন থেকে ৮০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 3 =