কলকাতা: ‘দল রাজ্যবাসীর স্বার্থে কাজ করছে। যাতে বাংলার মানুষের ভালো হয় সেই দিকেই সর্বদা নজর তৃণমূল কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ কাজই করা হয়ে থাকে মানুষের ভালোর কথা ভেবে। কিন্তু যদি ১ শতাংশ কোনও অন্যায় হয় এবং সেই অন্যায়ের সঙ্গে দলের কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকেন তাহলে তার দায় দল কোনও মতেই নেবে না।’ বুধবার যখন SSC মামলা এবং শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে রীতিমত তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি, তখন সেই মামলা প্রসঙ্গে বার্তা দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার সকালেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের সিবিআই দপ্তরে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে তাঁকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই অভিযোগে মঙ্গলবারই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। যদিও মন্ত্রী পরেশ অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মানেননি, বরং হাইকোর্টের রায়কেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মন্ত্রী ইতিমধ্যেই দ্বারস্থ হয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চে। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন রীতিমতো চাপে তৃণমূল কংগ্রেস তখনই বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সমস্ত মামলা প্রসঙ্গে সরাসরি বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন কুণালকে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই দপ্তরে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের হাজিরা প্রসঙ্গেও বার্তা দিতে দেখা যায়। বুধবার সকাল ১১টায় প্রেওস পালকে সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই তৃণমূল বিধায়ক সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে হাজিরা দেন বলে খবর। বিধায়কের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কুণাল ঘোষ। তার কথায়, ‘বিধায়ক পরেশ পালের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তিনি চাইলেই সে কথা জানিয়ে হাজিরা এড়াতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। হাজিরা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান সিবিআই দপ্তরে। তার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং পুরো ঘটনাটি একটা মিথ্যাচার জেনেও তিনি যেভাবে আইনকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার সাধুবাদ জানাই।’ অন্যদিকে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ আইন আইনের পথে চলবে এবং সেক্ষেত্রে কে কিরকম আইনি পদক্ষেপ নেবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যাপার। এক্ষেত্রে দলের কিছু করার নেই।’
এর সঙ্গেই কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই এসএসসির স্বচ্ছ নিয়োগ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বার্তা দেবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তবে কি সেই বার্তা এবং এই প্রসঙ্গে কি তথ্য দিতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দেননি কুণাল ঘোষ।