কলকাতা: শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যার জন্য তাঁর ন্যায্য জায়গা পাওয়া হয়নি। মেরিট লিস্টে অনেক কম নম্বর থাকার পরেও মন্ত্রীর মেয়ের নাম সবার ওপরে ছিল, আর ববিতার নাম চলে গিয়েছিল তলায়। তারপর থেকেই দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এক, দুই নয় চার বছর ধরে এই লড়াই করে এসে আজ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তিনি কাঙ্খিত স্বস্তি পেয়েছেন। যদিও তাঁর চাকরি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। তাও মন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি জয় পেয়েছেন। কারণ আদালত নির্দেশ দিয়েছে তাঁর চাকরি ছাড়ার, বেতন ফেরত দেওয়ার। কিন্তু ১০ মাসের সন্তান কোলে লড়াই চালালেন কী ভাবে ববিতা? জানালেন নিজেই।
আরও পড়ুন- তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেই হাঁটছেন অর্জুন সিং! ‘ঘরওয়াপসি’ কি শীঘ্রই
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ববিতা জানান, তিনি এক এই লড়াইয়ে ছিলেন না, তাঁর সঙ্গে আরও অনেক চাকরিপ্রাথীরা ছিল। তিনি এটাই ভাবতেন যে, তারা লড়াই চালিয়ে গেলে তিনি কেন পারবেন না। পাশাপাশি ছিল স্বামী, মায়ের সঙ্গ। তারা ক্রমাগত তাঁকে সমর্থন করে গিয়েছেন, সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন ববিতা। একই সঙ্গে তাঁর এও বক্তব্য, এটা ”দুর্নীতির বিরুদ্ধে সততার জয়।” তবে তিনি কী করে বুঝলেন, মেধা তালিকায় বিশাল গড়মিল হয়েছে? সেটাও নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
ববিতা জানান, মেধা তালিকায় প্রথমে ৭২ জনের নাম ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মেধাতালিকায় শীর্ষে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম চলে আসে। তারপর মেধা তালিকায় ৭৩ জনের নাম চলে আসে। তখন থেকে তাঁর সন্দেহ হতে শুরু করে। ২০১৮ সালে যখন তালিকা প্রকাশ পায়, তখন থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, কিছু একটা গন্ডগোল আছে। এরপর থেকেই শুরু হয় আরটিআই, কমিশনে যাওয়া, প্রতিবাদ, আন্দোলন।