কলকাতা: তৃণমূলে যোগদানের পর অর্জুন সিংয়ের সাংসদ পদ ছাড়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই মুখ খুললেন তিনি। অর্জুন সিং স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক নিয়ে দু’ জন সাংসদ রয়েছেন যাঁরা বিজেপি করছেন৷ তাঁরা ইস্তফা দিলে আমিও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছন, এই বিষয়ে দল বা তৃণমূল কংগ্রেস শেষ কথা বলবে। অর্জুন সিং নাম না করে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে এক হাত নিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই বিষয়ে সরাসরি দিব্যেন্দু অধিকারী কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, অর্জুন সিং বড় মাপের নেতা। অতীতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ভবিষ্যতেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি। তাই তাঁরা কেন তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তিনি বলেন, শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপির পতাকা তুলে নেননি। একটি পরিবারের একজন বিজেপিতে যোগ দেওয়া মানে সবাই বিজেপিতে যোগ দেবেন এমন কোনও কথা নেই।
অন্যদিকে অর্জুন সিং জল্পনা বাড়িয়ে বলেন, এখনও অনেকে তৃণমূলে ফিরে আসবে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলে ৪২টি আসন পাবে। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাবে না বলে অর্জুন সিং মন্তব্য করেছেন। অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্যের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি ছাড়ার পর অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, ‘রাজ্য বিজেপিতে সংগঠন বলে কিছু নেই। সংগঠনটাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যারা তৃণমূল থেকে গেছিলাম আমাদের বিশ্বাস করা হতো না বিজেপিতে। আমাকে জেলাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেখানে কী হবে বা কী হচ্ছে তা জানানো হতো না। সব সময় আমাকে সন্দেহ করা হতো। আর আমি শ্রমিকদের জন্য আওয়াজ তুলে ছিলাম বলে আমার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছিল। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর জগদ্দলে নিজের বাস ভবনে ফিরে এসে ফের একবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে একথা স্পষ্ট করলেন অর্জুন৷