কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ পেতে এবার নয়া পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। আয়কর দপ্তরের কাছ থেকে চাওয়া হল নথি। এর আগে ওই তিন নেতার কাছ থেকেও ব্যক্তিগত সম্পত্তির সমস্ত নথি চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানানো হয়েছে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেই সমস্ত নথি যেন তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। সিবিআইয়ের সেই নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলেন রাজ্যের এই তিন নেতা-মন্ত্রী। আর সেই নথির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আয়কর দপ্তরের কাছে জমা দেওয়া নথি চেয়ে পাঠিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে এই দুই নথি মিলিয়ে দেখার জন্যই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ। একইসঙ্গে পার্থ- পরেশ এবং অনুব্রতর আয়ের সমস্ত উৎস জানতে চেয়েছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গরু পাচার কান্ডের পরে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলাতেও মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু অসুস্থতার কথা জানিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। অন্যদিকে এসএসসি দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের লাগাতার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। গত সপ্তাহেই পরপর দুবার তারা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এবং সেই সময়ে তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর। আর এবার এই সমস্ত নথি মিলিয়ে দেখার জন্যই আয়কর দপ্তরের সাহায্য চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের কাছে খবর রয়েছে এসেছে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত এই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে প্রতিমাসেই বড় অঙ্কের একটি টাকা ঢুকত তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। এই সমস্ত অভিযোগ আদৌ সত্যি কিনা সেটাই এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর তাই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসেছে চাঞ্চল্যকর মোড়। একদিকে এসএসসি দুর্নীতিতে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রসঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে, তেমনই অন্যদিকে অবৈধভাবে নিযুক্ত হওয়ার কারণে চাকরি খুইয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। তাঁকে তাঁর ৪১ মাসের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।