কলকাতা: বিরোধী পক্ষের থেকে রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে হিংসা সৃষ্টির অভিযোগ পর্যন্ত এসেছে। তবে সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগ? হ্যাঁ, এটাও এবার তোলা হল। পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কোচবিহার জেলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বড় দাবি করেছেন। এখন এই ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন- ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI তলব, নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর
বিজেপি বিধায়কের দাবি, বেনারসে থাকা কোচবিহারের দেবোত্তর সম্পত্তি ধ্বংস করেছে রাজ্য সরকার। কোচবিহার কালী বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজে থেকেই নিয়েছিল তৃণমূল সরকার কিন্তু সেটার নামে সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মিহির এই ইস্যুতে ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেছেন যেখানে কোচবিহার কালী বাড়ির দুটি ছবি তুলে ধরেন। একটি পুরনো ছবি এবং অন্যটি নতুন। তাঁর সাফ কথা, কালী বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ না করে তাকে পুরোপুরি নষ্ট করেছে রাজ্য সরকার। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ”২০১১-তে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার কাশীতে কুচবিহার কালীবাড়ি, রক্ষণাবেক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। সেই রক্ষণাবেক্ষণের নমুনা দেখুন। ২০১২ সালের ছবিতে, কুচবিহার কালীবাড়ির প্রধান ফটকের অপরুপ নকশা, রং এবং স্থাপত্য পুরোটাই বদলে গেছে বর্তমানে। বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং কোচবিহার রাজপরিবারের ঐতিহ্য রক্ষার নামে এ তো শিল্পকলার নৃশংস হত্যা।”
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, বিরোধী পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে মানেই যে তা সত্যি হবে এমন কোনও মানে নেই। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব নিয়ে কালী বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করান। বেনারসের এই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।