কলকাতা: এবার সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ৷ প্রতিবাদে মুদিয়ালিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চের৷
আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতি’-র পাকে SSC! অস্বচ্ছতা রুখতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেই বড় বদল আনতে চলেছে কমিশন
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য, ঠিক সেই সময় চঞ্চল্যকর অভিযোগ পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের৷ তাঁদের অভিযোগ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও দুর্নীতি হয়েছে৷ নির্দিষ্টভাবে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ দাবি, অন্যায় ভাবে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এই মুহূর্তে কালচিনির বিডিও হিসাবে কর্মরত৷
বাম যুব নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ২০১৭ সালে ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে৷ ফল প্রকাশের পরেই জানা যায় বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে ১৬২ এবং ১৬৮ নম্বর পেয়েছেন ওই প্রার্থী৷ এর পর জল বহুদূর গড়ায়৷ আদালতে মামলাও হয়৷ আরটিআই রিপোর্টে জানা যায়, ওই প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মাত্র ১৩ পেয়েছেন৷ তিনি বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে এটাও জানা যায় যে, পিএসসি’র দুই আধিকারিককে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় টালিগঞ্জ থানায় এফআইআর হয়৷ একাধিক মামলা হয়েছে৷ সেই বিডিও-কে সরকারি নোটিশ দিয়ে প্রমোশন আর পোস্টিং আটকে রাখা হয়েছে৷ অথচ ওই দুর্নীতিগ্রস্ত বিডিও-কে এখনও সরানো হচ্ছে না৷
ইন্দ্রজিৎ বলেন, আমাদের দাবি অবিলম্বে ওই দুর্নীতিগ্রস্ত বিডিও-কে সরাতে হবে৷ এবং এতদিন তিনি সরকারের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছেন, সেই টাকা সুদ সহ ফেরত দিতে হবে৷ সেই সঙ্গে যাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে৷ পাশাপাশি স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে দ্রুত নিয়োগের জন্য তাঁদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে বলেও জানান ইন্দ্রজিৎ৷
অন্যদিকে, ক্লার্কশিপের চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, সাড়ে তিন বছর আগে ক্লার্কশিপের পরীক্ষা হয়েছে৷ এখনও সেই পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি৷ এছাড়াও গত দুই বছরে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি৷ সেই প্রতিবাদেও এদিন বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা৷ দিন কয়েক আগেই ফুড কর্পোরেশনের চাকরি প্রার্থীরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ উত্তাল হয়েছিল পিএসসি ভবন৷ এদিন ফের বিক্ষোভে উত্তাল মুদিয়ালি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>