কলকাতা: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তার দিদিরা পেয়েছে, সেও কিছু পাচ্ছে। এই কথা অনেক আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিল মালদহের সায়ন্তিকা। তাই চেয়েছিল নিজের প্রিয় সাইকেল চালিয়ে এসে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সরাসরি তাঁকে ধন্যবাদ দেবে। সেই স্বপ্ন তার সার্থক হয়েছে। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সে। বাড়ি থেকে সে সঙ্গে এনেছিল আমসত্ত্ব, আচার।
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরেই গুরুদায়িত্ব! বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সামলাবেন অর্জুন
এদিন কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে সায়ন্তিকা আসার পর মমতা নিজেই বেরিয়ে আসেন তার সঙ্গে দেখা করতে। গাল টিপে আদর করেন এবং ক্লাস টু’ইয়ের মেয়েটিকে বই, মিষ্টি, চকোলেট দেন। ‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করে বেজায় খুশি হয়েছে ছোট্ট সায়ন্তিকা। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, বাচ্চা মেয়ের জেদ বেশি দিন হয়তো টিকবে না। কিন্তু সেই জেদ করেই সায়ন্তিকা এসেছে মালদহ থেকে কলকাতায়, তাও আবার সাইকেলে। আসলে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা সায়ন্তিকার পরিবার পেয়েছে এবং পাচ্ছে। তার বাবা প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে এগিয়েছে তার বাকি দুই মেয়ের পড়াশুনা। অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধাও পেয়েছেন তারা। এই সব দেখে আট বছরের খুদের মনে হয়েছিল সে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ধন্যবাদ জানাবে। তাই কলকাতায় এসেছে সে।
প্রদীপ দাস পেশায় গাড়ির চালক। তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর। যা আয় হয় কোনও রকমে তা দিয়েই সংসার চলে তার। টানাটানির সংসারে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা তারা পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর্থিক পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে আগের থেকে। তাই মমতা সরকারের কাজে খুশিই দাস পরিবার। আর এখন সবথেকে বেশি খুশি সায়ন্তিকা।