পালানোর পথ চাই! পাক সীমান্তে এখনও ভিড় জমছে আফগানদের

পালানোর পথ চাই! পাক সীমান্তে এখনও ভিড় জমছে আফগানদের

কাবুল: আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। মার্কিন সেনা দেশ থেকে চলে গিয়েছে, পঞ্জশির তালিবান দখল করে নিয়েছে, এমনকি নতুন সরকার গঠন করা হয়ে গেছে তাদের। তালিবান প্রবেশ করার পর বহু মানুষ আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে অন্যান্য দেশে চলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এখনো সেই দেশের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন অনবরত। এই ছবি এখন ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রেও! দেশ ছাড়ার জন্য পাক সীমান্তের ভিড় জমাচ্ছে আফগানরা। এখনো সেখানে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ৩০ সেপ্টেম্বর তিন কেন্দ্রে ভোট, রাজ্যে আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী চমন সীমান্ত সবথেকে বেশি ব্যস্ত সীমান্ত। এখানেই আফগানদের ভিড় দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে। জানা গিয়েছে যে, উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে তা দিন কয়েক আগেকার। সীমান্ত এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে আফগানদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যারা মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তানে প্রবেশ করার জন্য। তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের কী অবস্থা হয়েছিল তা সকলেই মনে রেখেছেন। এখন এই সীমান্তে কার্যত সেই একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এই ভিড়ের রয়েছে প্রচুর শিশু যাদের পরিবারের সদস্যরা চাইছেন পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ব্যাপার এই যে, ওই সীমান্ত বেশ কয়েক দিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। তবে শুধু এই সীমান্ত নয়, আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তানের মধ্যে যে সীমান্ত রয়েছে সেখানেও আফগানদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে ইরানের সীমান্তেও একই রকম চিত্র ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন- ক্রমশ বাড়ছে ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, কী বলছেন চিকিৎসকরা?

দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের সরকার গঠিত হয়েছে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানে। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন মোল্লা ইয়াকুব, সিরাজ হাক্কানি, শেখ মহম্মদ-সহ একাধিক মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা। প্রত্যাশা মতোই  মন্ত্রীসভায় নেই কোন নারী প্রতিনিধি।  কিন্তু কেন?  এই প্রশ্নের জবাবে তালিবানের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনের প্রধান আমানুল্লাহ ওয়াসিক জানিয়েছেন, মন্ত্রীসভার গঠন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও কাবুল দখলের পর একাধিকবার সমাজে নারীদের ভূমিকা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *