কলকাতা: করোনা সঙ্কট যখন প্রবল ছিল দেশ তথা রাজ্যে তখন একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অভাব আছে। অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছিল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থাকলেও নেই চিকিৎসক। ফলে অনেক রোগী বিনা চিকিৎসা পেয়েই ভুগেছেন, কেউ হয়তো মারাও গিয়েছেন। মূলত গ্রামাঞ্চলে এই সমস্যা সবথেকে বেশি ধরা পড়েছিল। তাই গ্রামের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবার থশেবা।কারণ তারাই দেবেন ডাক্তারি পরিষেবা।
আরও পড়ুন- ‘তুমি তোমার জামাইকে নিয়ে থাকো, আমি চললাম’, মাকে বলেছিলেন মঞ্জুষা
একটা বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। হাসপাতাল, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থাকলেও শুধুমাত্র ডাক্তারের অভাবে অনেক চিকিৎসা হয় না। সেই ঘাটতি পূরণের জন্যই নার্সদের নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা কালের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, নার্সদের পদোন্নতি হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ীই এবার প্রশিক্ষণ শুরু হবে নার্সদের। জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পাবেন নার্সরা। এই সময়ে প্রায় ৭০০ জন নার্সকে প্রশিক্ষিত করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই এই ব্যবস্থা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গ্রামের দিকে হাসপাতালে যাতে চিকিৎসার অভাব না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ।
কিন্তু কী কী বিষয়ে হবে এই প্রশিক্ষণ? সূত্রের খবর, চিকিৎসা করার জন্য যে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ প্রয়োজন সেটাই দেওয়া হবে নার্সদের। একদম সাধারণ অসুখের চিকিৎসা কী ভাবে করতে হবে সেটাও শেখানো হবে তাদের। কিন্তু কোনও রকম প্রেসক্রিপশন বা ডেথ সার্টিফিকেট তারা দিতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট জানান হয়েছে। মনে রাখতে হবে তারা ডাক্তার নন, শুধুমাত্র তার পরিপূরক। আর এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন তারা মাসিক ভাতা পাবেন ১০ হাজার টাকা। এই প্রশিক্ষণ পেতে গেলে বিএসসি পাশের যোগ্যতা চাই।