কাবুল: ঘরের পাশে তালিবান থাকলে নিশ্চিন্তে থাকা যায়না, তা মোদি সরকার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তবে পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত একটি খবর কি মোদি সরকারকে একটু স্বস্তি দেবে। কাবুলে শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতাদের মধ্যে বিরোধের আভাস পাওয়া গিয়েছে। যা খবর, নতুন সরকার গঠন নিয়ে বিরোধ চরমে। খবর পাওয়া গিয়েছে বিবিসি সূত্রে।
বিবিসি ইসলামাবাদের প্রতিবেদক খুদাই নূর নাসের নিজের প্রতিবেদনে লিখেছেন, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদরের সঙ্গে একজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের সম্প্রতি বাকবিতণ্ডা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছিল যে, তালিবান নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু তা কিছুতেই নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। তবে এও ঠিক যে, সাম্প্রতি জনসমক্ষে দেখা যায়নি মোল্লা বারাদরকে। কিন্তু তালিবান কর্তারা এই সব কিছুই মানতে চাননি।
তালিবানের একটি সূত্র বিবিসি পশতুকে জানিয়েছে, মোল্লা বারাদর এবং শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ কথাবার্তা হয়েছে। যা, শীর্ষ নেতৃত্বকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সেই স্থানে থাকা তাদের অনুগামী-অনুসারীরাও পরস্পরের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। খলিল উর-রহমান হাক্কানি আফগানিস্তানের সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তালিবান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছেন। বরাদর এবং হাক্কানি দুই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন এক কাতার-ভিত্তিক বরিষ্ঠ তালেবান নেতা নিশ্চিত করেছে যে, গত সপ্তাহেও একবার তুমুল তর্কবিতর্ক হয়েছিল। সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেখানে বিতণ্ডার তৈরি হওয়ার কারণ হলো নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন নিয়ে সন্তুষ্ট নন মোল্লা বরাদর।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এই বিতর্ক? বিবিসি, সূত্র মারফর যা খবর জানিয়েছে, তা হল – মোল্লা বরাদর মনে করেন আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক কথাবার্তায় সাফল্যর জন্যই আজ তালিবান সরকার করতে পেরেছে। কৃতিত্ব তাদের। খলিল উর-রহমান হাক্কানি তা মানতে রাজি নয়। তার মতে, আমেরিকাকে হারিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে তারা এই জয় পেয়েছেন। কৃতিত্ব হাক্কানির।