‘ছেলে বিয়ে দেওয়ার বয়সে এভাবে….’ টোটো চালকের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কে হতবাক স্বামী

‘ছেলে বিয়ে দেওয়ার বয়সে এভাবে….’ টোটো চালকের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কে হতবাক স্বামী

কলকাতা: হাওড়ার নিশ্চিন্দার পর উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা৷ পর পুরুষের সঙ্গে ঘর ছাড়ার ঘটনা মিলিয়ে দিল দুই জেলাকে৷ দুই টোটো চালকের সঙ্গে দুই গৃহবধূর পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে৷ এদিকে, স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে চোখে জল অর্জুন পালের৷ ভেজা গলায় বলেন, ‘‘ছেলের বিয়ের বয়স হয়ে এল, এই সময় এমন কাণ্ড৷ ও যে এমনটা করতে পারে ভাবিনি। ওঁকে ছাড়া বাঁচব না। একবার তো মরতেও যাচ্ছিলাম…”

আরও পড়ুন- ঝুড়িতে ফলের জায়গায় বোমা! খাস কলকাতায় আবার আতঙ্ক

স্ত্রী শেষ পর্যন্ত একজন টোটো চালকের সঙ্গে পালাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি অর্জুন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই লোকটাকে একবার ঘরে দেখেছি। কিন্তু, বুঝতে পারিনি ওর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷ কোথায় যে আমার বউকে নিয়ে গেল!”

হাওড়ার নিশ্চিন্দার দুই গৃহবধূ ঘর ছেড়েছিলেন দুই রাজমিস্ত্রির হাত ধরে৷ সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই স্মৃতি উস্কে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার দুই গৃহবধূ পালালেন দুই টোটো চালকের সঙ্গে৷ এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুই মহিলা বাগদা থানার আন্দুলপোতা গ্রাম ও সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদার নামের দুই টোটো চালকের সঙ্গে পালিয়ে যান মিঠু পাল ও পবিত্রা পাল৷ ঘোরাফেরা করার সুবাদেই ওই দুই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই দুই টোটো চালকের৷ জানা গিয়েছে, তাঁরাও বিবাহিত৷ দুই মহিলার স্বামীই একটি নির্মাণ সংস্থায় কর্মরত এবং কাজের সূত্রে তাঁরা বাইরে থাকেন। মিঠুর দুই সন্তান রয়েছে৷ পবিত্রাও এক সন্তানের মা৷ এর পরেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তাঁরা৷ 

কিন্তু, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী? বুঝে উঠতে পারছেন না মিঠু পালের স্বামী অর্জুন পাল। তিনি বলেন, “ শনিবারও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও বলল মাংস রাঁধছে। আমি ঠাট্টা করে বলেছিলাম, মঙ্গলবার-আর শনিবার কেউ মাংস খায় নাকি! আমাদের কখনও ঝগড়া হত না। আমি কর্মসূত্রে পুনেতে থাকি৷ ও বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধার কাজ করত। আমাদের দুটি ছেলে৷ একজনের বয়স ২০, অন্যজন এই বছরই মাধ্যমিক দিয়েছে।”

 
তবে বউকে আরও একবার ঘরে তুলতে প্রস্তুত অর্জুন৷ তিনি বলেন, ‘‘২২ বছর ধরে ওর সঙ্গে সংসার করছি৷ মানুষ মাত্রই ভুল হয়৷ আমি চাই ও ফিরে আসুক৷ ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না৷’’ অর্জুন জানান, ওই টোটোওয়ালার স্ত্রী প্রথম ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানান৷ ছেলে বিয়ে দেওয়ার বয়সে কেউ কী ভাবে এমন কাজ করতে পারে, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না তিনি৷