কলকাতা: হলদিয়ার সভা থেকে বিচারপতিদের উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে৷ তাঁকে পাল্টা নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ সোমবার শ্যামনগরের সভা থেকে পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক৷
আরও পড়ুন- ‘নিজের দলের হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’, মন্তব্য ক্ষুব্ধ মমতার
এদিন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্যপাল বলেছেন আমি নাকি সীমারেখা অতিক্রম করেছি৷ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে কে? তৃণমূল সাংসদ বলেন, আমি বলেছিলাম, বিচার ব্যবস্থায় ৯৯ শতাংশ লোক খুব ভালো৷ ১ শতাংশ খারাপ৷ এটাতো যে রাজনৈতিক দলেও হয়ে থাকে৷ তাঁর কথায়, বিচার ব্যবস্থায় এই ১ শতাংশ লোক আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বা যাঁরা সরকারের নিয়ন্ত্রণ ভূমিকায় রয়েছেন, তাঁদের কথা শুনে কাউকে কাউকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে৷ আমি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বললে তার উত্তর দিচ্ছেন রাজ্যপাল৷ তার মানে ঠিক জায়গায় গিয়ে ঢিলটা লেগেছে৷ খোঁচা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘মৌচাকে ঢিল পড়েছে…’৷
সুর চড়িয়ে অভিষেক আরও বলেন, রাজ্যপাল বলছেন, এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত দেওয়ায় আমার নাকি গায়ে জ্বালা ধরছে৷ আমার কোনও গায়ের জ্বালা নেই৷ এসএসসি, পিএসসি, সারদা, নারদা যাতে ইচ্ছা সিবিআই দিতে পারে৷ তাতে আমার কিছু যায় আসে না৷ তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই-ইডিকে সামনে রেখে রাজনীতি করে না৷ মানুষের দাবিকে সামনে রেখে রাজনীতি করে৷ সবেতে সিবিআই দিতে পারে৷ কিন্তু সিবিআই-এর গ্রহণ যোগ্যতা কোথায়? প্রশ্ন তাঁর৷
অভিষেক বলেন, ১৮ বছর হয়ে গেল এখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল উদ্ধার করতে পারেনি৷ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের ধরতে পারেনি৷ সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে যাঁদের নামে অভিযোগ করেছেন তাঁদের কাউকে এক দিনের জন্যেও ডেকে পাঠায়নি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছেন এসএসসি তদন্তে সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে৷ কিন্তু সিবিআই-কেও নিরপেক্ষ হতে হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>