কলকাতা: কেকে-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা। অপরাধ বোধ থেকেই দেওয়া হল গান স্যালুট। বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ দাবি করেন, “একটা লোককে হত্যা করা হল। অমিত শাহ বলেছিলেন, বাঙ্গাল মে যাওগে তো মার যাওগে। আজ বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মরে গেল। এটা কলেজের প্রোগ্রাম নয়। তৃণমূল পার্টির প্রোগ্রাম। ওরা লোক জড়ো করেছে। নেতারা অর্গানাইজ করেছে। ওকে দিয়ে জোর করে একের পর এক গান গাইয়েছে। উনি পারছিলেন না। চলে যেতে চাইছিলেন। ওকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা। এটা থেকে যে অপরাধ বোধ তৈরি হয়েছে, তা ঢাকা দিতে গান স্যালুট।”
নাম না করে আক্রমন শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে। কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, “ওনার অভ্যাস আছে, মৃতদেহ চুরি করে নেওয়ার।” প্রশ্ন তুলেছেন, ” অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল কেন? কেকে তো নিজে ঠিক করবেন না। উনি তখন অসুস্থ। বাকিরা কি করছিল? কার দায়িত্ব ছিল? উনি অসুস্থ বোধ করছেন, পাশে থাকা লোকজন চিৎকার করছে। একটা বদ্ধ জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা গান করানো হয়েছে। উল্লাস করছে। অমানবিক ঘটনা। তদন্ত হোক।”
মন্তব্য করেছেন সৌরভ ইস্যুতেও। দিলীপ বলেন, “সৌরভ গাঙ্গুলি যা করবেন, বড়ই করবেন, এতোদিন যা করেছেন, বড়ই করেছেন। সফলভাবে করেছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। ওনার সাফল্য কামনা করি।”
প্রশ্ন উঠেছে আগামীদিনে কি বড় তারকারা আর কলকাতায় আসতে চাইবেন? দিলীপ বলেন, ” তারা ঠিক করবেন, তারা কি করবেন। শিল্পীরা বলেছেন এই জন্য আমরা নজরুল মঞ্চে যাই না। আমাদের বাংলার শিল্পীরা যেতে সাহস করেন না । কেন এইধরণের পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। আনন্দ কে দুঃখে পরিণত করার যে চক্রান্ত। এর পিছনে কে কারা। সব জায়গায় রাজনীতি। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতিকে টেনে গিয়ে তার থেকে ভোট নিতে হবে।মানুষের জীবনের মূল্যে। ভাবার দরকার আছে।” মুখ খোলায় সেন্সর জারির পরও মন্তব্য করে চলেছেন। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ বলেন, “পার্টি যা নির্দেশ দিয়েছে, আমি তা মেনে চলব। আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী।”