কলকাতা: বাম আমলের দাপুটে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা লক্ষণ শেঠ। তবে বাম আমলের পতনের পর তাঁকে সেভাবে রাজনীতির মঞ্চে দেখতে পাওয়া যায়নি। বলা যেতে পারে, তিনি রাজনীতি থেকে অবসরে নিয়েছেন। সেই দাপুটে নেতাই এবার ডিলিট উপাধিতে ভূষিত হলেন। তিনি রাজনীতির বাইরে এসে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। ৭৩ বছর বয়সে তিনি ডিলিট সম্মানে ভূষিত হলেন।
প্রাক্তন বাম নেতাকে কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত গৌতম বু্দ্ধ ও সাম্যবাদ নিয়ে তিনি গবেষণা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রাজনীতি থেকে সরে আসার পর থেকেই যে তিনি গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর সাম্যবাদ নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তা অনেকের অজানা। তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই অনেকে তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। পড়াশোনার জন্য বয়স কোনও সমস্যা নয়। রাজনৈতির জীবনের পরবর্তী অধ্যায় তিনি যে এভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন পড়াশোনার মাধ্যমে তাতেই আপ্লুত অনেকে।
জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলদিয়াতে এসে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে।বাম আমলের সময় হলদিয়ার একাধিক উন্নতি করেছিলেন। স্কুল ও কলেজ তৈরি করেছিলেন। বাম শাসনের পর তিনি দলবদল করেন। একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ম নিরপক্ষ আদর্শের পক্ষে কথা বলেন। তিনি জনকল্যান কাজের বিষয়ে আগ্রহী। তাই লক্ষণ শেঠ তৃণমূলের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চান বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে এই বিষয়ে পরবর্তীকালে কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি।