কলকাতা: জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকের মৃত্যুতে সারা দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি কেকে-র মৃত্যুর জন্য সরাসরি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেন। ‘রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ –এর কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বদলে রাজ্যপালের বিরোধী দলনেতার আসনে বসা উচিত।
দার্জিলিং সফর শেষে শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখান থেকেই তিনি উদয়পুরের দিকে রওনা দেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, কেকে-র মৃত্যু আসলে প্রশাসনিক ব্যর্থতা। তিনি জানান, সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যু বেদনাদায়ক। আমাকে অনেকে ভিডিও পাঠিয়েছেন সেদিনের অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান পরিচলান সমিতির ব্যর্থতার জেরে কেকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হল। ভিড় সামলানোর যোগ্যতা অর্জন করে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত ছিল।
ধনখড়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম। তিনি মন্তব্য করেন, রাজ্যপাল কোন দলের লোক ? শুভেন্দু অধিকারীর বদলে বিরোধী দলনেতার আসনে জগদীপ ধনখড়ের বসা উচিত। কেকে সেদিন অনুষ্ঠান সেরে হোটেলে ফিরে যান। হোটেলে লিফটে ওঠার পর তাঁর শরীর খারাপ লাগে। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যপাল যদি আগে থেকে বুঝতে পারেন, কেকে-র শরীর খারাপ, তিনি তা প্রকাশ্যে করেননি কেন।
কেকে-র কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ সেদিনের অনুষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কেকে-র হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। ৭০ শতাংশ ব্লকেজ দেখা দিয়েছে। তিনি মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খেতেন। পেটে ১০ ধরনের হজমের ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাকে তিনি বদহজম হিসেবে ভুল করতেন। সেই কারণেই তিনি মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খেতেন।