নলহাটি: ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। রোগভোগের যন্ত্রণাকে পাশে সরিয়ে নিয়োগের দাবিতে ক্রমাগত আন্দোলন করে গিয়েছেন চাকরিপ্রার্থী সোমা দাস। তাঁর এই লড়াই প্রকাশ্যে আসার পরেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বীরভূমের সোমা শনিবারই স্কুল শিক্ষিকাকে পথ চলা শুরু করেন। সেই পথ চলার প্রথম দিনেই চোখের সামনে শুধু ভেসে আসছে আন্দোলনের মুখগুলো।
স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সোমা বলেন, ‘ভালো লাগছে। আমার এই চাকরি চার বছর আগের। বহু লড়াই, বহু কষ্ট, বহু ত্যাগের পর এই চাকরি আমি পেয়েছি।’ সংবাদমাধ্যমকে সোমা যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, বার বার তাঁর গলা কেঁপে উঠছিলেন। তিনি চাকরি পেয়ে গেলেও তাঁদের সহযোদ্ধাদের অনেকেই এই লড়াই এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজে যোগ দেওয়ার প্রথমদিনে বার বার তাঁদের কথাও মাথায় আসছে। মুখগুলো চোখের সামনে ভেসে আসছে। তিনি বলেন, ‘ কোথাও গিয়ে ভালোলাগাটা যেন স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে তাদেরও যদি নিয়োগ হতো, আনন্দটা আরও বেড়ে যেত।’
মধুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার থেকে তিনি শিক্ষিকা। স্কুলের ভেতরেই মাঝেমধ্যেই তিনি আবেগপ্লাবিত হয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, আজকে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি, তার জন্য তাঁদের অবদানও রয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েদিয়েছেন, যতদিন না তাঁর সহযোদ্ধারা নিয়োগ পাচ্ছেন, যতদিন এই আন্দোলন চলবে, ততদিন তিনি পাশে আছে আন্দোলনের, তাঁর সহযোদ্ধাদের। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষিকা হিসেবে কর্তব্যে অবহেলা হবে না। পাশাপাশি তিনি জানান, সময় পেলেই চলে যাবেন গান্ধিমূর্তির পাদদেশে। তাঁর সহযোদ্ধাদের পাশে।