জামাই আদরে শোভনকে জামাইষষ্ঠী খাওয়ালেন বৈশাখী, মাথায় দিলেন প্রদীপের আশীষ

জামাই আদরে শোভনকে জামাইষষ্ঠী খাওয়ালেন বৈশাখী, মাথায় দিলেন প্রদীপের আশীষ

কলকাতা: শোভন-বৈশাখী মানেই ভালোবাসার অদ্ভূত রসায়ন৷ তাঁদের নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহেরও কোনও খামতি নেই৷ আরও একবার নতুন ভাবে ধরা দিলেন তাঁরা৷ বিশেষ দিনে ‘বিশেষ বান্ধবী’কে দেখা গেল বিশেষ ভূমিকায়। ধুমধাম করে ‘বন্ধু’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামাইষষ্ঠী পালন করলেন গোলপার্কের বাড়িতে। তবে বৈশাখী জানিয়েছেন, এই দায়িত্ব তাঁর মায়ের৷ আর মায়ের নির্দেশেই তাঁর সব আয়োজন।

আরও পড়ুন- ভর দুপুরে কলকাতায় উধাও হল ছায়া! কিন্তু কেন জানেন?

শোভন

রবিবাসরীয় দুপুরে বন্ধু শোভনকে পঞ্চব্যাঞ্জনে খাওয়ালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান পর্বের সেই সব ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেন তিনি। ওই পোস্টেই বৈশাখী জানিয়েছেন, তাঁর মা খুবই অসুস্থ। সে কারণেই শাশুড়ির ভূমিকা পালন করতে হয়েছে তাঁকেই। বৈশাখী লিখেছেন, তাঁর মায়ের চোখে শোভন জামাইয়ের থেকেও বেশি সন্তান। তবে শুধু শোভনকেই নয়, এদিন মেয়ে মেহুলকেও নিজের হাতে ষষ্ঠীর ভোজ খাইয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

শোভন

এর আগে দুর্গাপুজোর দশমীতে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল শোভনকে। সেটাই তাঁদের বিবাহের স্বীকৃতি কি না তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি৷ তবে বৈশাখী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শোভন তাঁর মায়ের কাছে জামাই। সত্যি করেই শোভনকে জামাই আদর করলেন তিনি৷ একেবারে পঞ্চব্যাঞ্জনে খাওয়ালেন বন্ধুকে। সেই সঙ্গে রুপোর থালায় সাজিয়ে দিলেন মিষ্টি। জলও দেন রুপোর গ্লাসে৷ তার পর রুপোর চামচ করে ‘জামাই’ শোভনকে নিজের হাতে খাইয়ে দেন তিনি৷ শুধু খাওয়ানোর মধ্যেই সীমাবন্ধ থাকেনি জামাইষষ্ঠীর আচার৷ শোভনের মাথায় রেখেছিলেন ‘স্নেহে’র পরশ৷ 

শোভন

মিষ্টিমুখ করানোর পরেই মূল ভোজ। নিজের হাতে শোভনের থালা সাজান বৈশাখী৷  বাটিতে বাটিতে সাজিয়ে দেন নানা পদ। তাতে যেমন ছিল মাছ, মাংস৷ তেমনই ছিল নিরামিষ তরকারিও। খাবার পরিবেশন করার পর শাশুড়ির মতোই সামনে বসে থেকে শোভনকে খাইয়েছেন তিনি৷ ঠিক মতো ‘জামাই’ খাচ্ছে কিনা, আর কী কী লাগবে তাঁর, সব দিকে নজর রেখেছিলেন তিনি৷ 

শোভন

এত এত মিষ্টি ও খাবার শোভন খেয়েছেন কি না তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অনেক মিষ্টি দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷ তার পর শোভন ও মেয়ে মেহুল দু’জনে মিলে খাইয়ে দেন তাঁকে৷ 

sovan

শোভনের প্রাক্তন শাশুড়ি অর্থাৎ বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মা প্রায়ত কস্তুরী দাসও এক সময় জাঁকজমক করেই জামাইষষ্ঠী পালন করতেন। এখন অবশ্য সেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নেই শোভনের। বৈশাখীর হাতে রবিবারের শোভনের জামাইষষ্ঠীর খবর শোনার পর রত্না এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি।