কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড় মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হাসিন জাহানের বাবা মহম্মদ হোসেন এবং মা নাজমা খাতুন। কিন্তু সেই মামলা গ্রাহ্য হল না কলকাতা হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতে চলা মামলায় হাইকোর্ট কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। তবে কেন তার বাবা-মা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তা জানতে হলে অবশ্যই যেতে হবে মামলার গভীরে।
আরও পড়ুন- নিখোঁজ ট্রলার, মৎস্যজীবীদের ফিরে পেতে মৎস্যবন্দরে পথ চেয়ে বসে পরিবার
বীরভূমের সাঁইথিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ হোসেন এবং নাজমা খাতুনের বড় মেয়ে হাসিন জাহান, ছোট ছেলে তারিক পারভেজ। হাসিনের ছোট ভাই বাবা মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকলেও তাদের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখেননি। কিন্তু ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জুহির সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল হাসিনের। জানা গিয়েছে, পরিবারের সুরক্ষার জন্য স্ত্রী এবং একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বীমা করে রেখেছিলেন তারিক। ২০২১ সালে মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। নিয়ম অনুসারে তাঁর স্ত্রী জুহি জীবন বীমার একমাত্র দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তারিক মারা যাওয়ার পর তাঁর সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে শুরু হয় বিবাদ।
ছোট ভাই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন হাসিন জাহান। ভাই মারা যাবার পর তাঁর স্ত্রী কিছুদিনের জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ ওঠে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসার পর শ্বশুর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি এবং সাঁইথিয়া পুলিশ স্টেশনে একের পর এক অভিযোগ দায়ের করেন জুহির বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র বৌমার জরিমানা নয়, মেয়ে হাসিন জাহানের বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এক্ষেত্রে দাবি তোলা হয় যে, ভাইয়ের বউয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাসিনের বাবা-মা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘পাপ করবে বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ হিংসা নিয়ে কড়া টুইট মমতার
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বর্তমানে সিউড়ি আদালতে চলছে এই মামলা। যদিও হাসিন জাহানের বাবা এবং মা এখানেই থেমে থেমে যাননি। সমস্ত তথ্য গোপন করে কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বৌমা এবং তার মেয়ের বিরুদ্ধে। তবে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, পুলিশের কোনও গাফিলতি নেই। ভবিষ্যতে যদি কোনও অশান্তি বা সমস্যা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের যে সমস্ত মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না।