“পড়াশোনা না করে ছেলেদের পিছনে ঘুরলে তো ফেল করবেই” ভাইরাল ‘কাকু’র প্রতিক্রিয়া, থতমত ছাত্রী

“পড়াশোনা না করে ছেলেদের পিছনে ঘুরলে তো ফেল করবেই” ভাইরাল ‘কাকু’র প্রতিক্রিয়া, থতমত ছাত্রী

কলকাতা:  উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজিতে তারা কেউ ৫, কেউ ৭ কিংবা ১০ পেয়ে অনুত্তীর্ণ৷ কিন্তু, তাদের দাবি পাশ করাতে হবে৷ গ্রীষ্মের প্রখর উত্তাপ উপেক্ষা করেই প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে চলছে আন্দোলন৷ জেলায় জেলায় অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ-আন্দোলনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ এমনই এক আন্দোলনের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন এক ব্যক্তি৷ এক ছাত্রীর উদ্দেশ্য তাঁর মন্তব্যে শোরগোল নেটপাড়ায়৷ 

আরও পড়ুন- প্রয়োজনে সেনা! অশান্তি রুখতে রাজ্যকে একাধিক কড়া নির্দেশ আদালতের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে ত্রিয়া দাস নামে একটি প্রোফাইল থেকে৷ যেখানে দেখা যায় প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তা অবরোধ চলছে৷  একজন ছাত্রী প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ তাঁর দাবি, তাঁকে পাশ করিয়ে দিতে হবে৷ যা দেখে রীতিমতো গর্জে ওঠেন ওই ব্যক্তি৷ তিনি চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘‘পড়াশোনা না করে সারাদিন খালি ছেলেদের পিছনে ঘুরবে৷ গঙ্গার ঘাট, সিনেমা হল, এখানে সেখানে ঘুরে বেরাবে৷ পরীক্ষায় লিখতে পারোনি বলেই তো ফেল করেছ৷ এছাড়া সবসময় মোবাইল টিপতে থাক। কখনও ফেসবুক, কখনও ইউটিউব করতেই থাক৷ এখন ফেল করেছ বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছ৷ তোমাদের লজ্জা-সরম নেই? রাস্তা অবরোধ করেছ? পড়াশোনা না করলে ফেল তো করবেই।’’ ওই ব্যক্তির এহেন প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই হতবাক৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল তাঁর ডায়লগ৷ ভিডিয়োতে যে ছাত্রীকে দেখা গিয়েছে, তিনি কোন স্কুলের পড়ুয়া তা অবশ্য জানা যায়নি৷ 

দিন কয়েক আগেই ভাইরাল হয়েছিল পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের একটি ভিডিয়ো৷ যেখানে Umbrella বানান করতে গিয়ে হিমশিম খান এক ছাত্রী৷ ওই ছাত্রীর দাবি ছিল, ‘‘আমাদের সকলকে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা অন্যান্য বিষয়ে লেটার পেয়েছি৷ আমাদের সকলকে ইংরেজিতে পাশ করিয়ে দিতে হবে।” এরপরই ঘটে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি৷ এক সাংবাদিক দুম করে ওই ছাত্রীর কাছে Umbrella বানান জানতে চান। এর উত্তরে প্রথমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷ এর পর যে জবাব আসে, তা শুনে সত্যিই ভিড়মি খাওয়ার জোগড়৷  ওই ছাত্রীর ‘Amrela’ বানান রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়৷ এ নিয়ে কম বিতর্কও হয়নি৷ এর জন্য একদল দায়ী করেছে সিস্টেমকে৷