ঢাকা: গত দুদিন ধরে বাংলাদেশের বহু জায়গায় দুর্গা প্রতিমা এবং দুর্গা মণ্ডপ ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উৎসবের মাঝে এমন উত্তেজনার খবর স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। এবার দশমীতেও সেই তাণ্ডব জারি থাকল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নোয়াখালিতে অবস্থিত ইসকনের একটি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীর একটি দল। এমনকি মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মারধর করার অভিযোগ পর্যন্ত উঠছে। এই ঘটনায় আরও হইচই শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্ত এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য লাগোয়া জেলায় দুর্গা মণ্ডপ এবং মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। একটি পুজো মণ্ডপে কোরানের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পরেই এই তাণ্ডবলীলা শুরু হয়। চাঁদিপুর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে শুরু করে কক্সবাজার এলাকাতে ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী মন্দিরে হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্বে নাকি ছিলেন সেদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলিগেরই নেতা, জানা গিয়েছে এমনটাই। মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছে তছনছ হয়ে যাওয়া মন্দিরের ছবি। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সে দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আগেই বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, এই ঘটনাগুলিকে তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং খুব তাড়াতাড়ি দোষীর শাস্তি পাবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে সেই দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ২২ জেলায় ইতিমধ্যেই বর্ডার গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, নর্সিংদি।
মন্দির ভাঙচুর এবং দুর্গা মণ্ডপ এবং মূর্তি ভাঙার ঘটনায় মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ধর্ম যাঁর, যাঁর, কিন্তু উৎসব সকলের। বাংলাদেশে এটা সবসময় ছিল, আছে। প্রত্যেকে সেই উৎসবে সামিল হয়ে একসঙ্গে উপভোগ করেন। কিন্তু মাঝে মাঝে এই চেতনায় খেদ পড়ে তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তিনি এসব মেনে নেবেন না। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।