ঢাকা: বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় এখন গোটা বিশ্ব আন্দোলিত। আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক নিন্দিত হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। যদিও তারা শুরু থেকেই এই ঘটনার চরম নিন্দা করেছে এবং দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ হিংসার ঘটনায় ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হাসিনা সরকারের সন্দেহ যে তালিবান সমর্থক জামাতের ছকেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে।
এক দুর্গা মণ্ডপে কোরান রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। পরে জানা যায় ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল কুমিল্লার ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে হোসেনের চারজন সহযোগী। তবে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, গোটা ঘটনায় পরিকল্পিত এবং এর পেছনে রয়েছে বড় কোনো ষড়যন্ত্র। জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের এই ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছে তারা। ইসলামপন্থী এই সংগঠন তালিবানকে সমর্থন করে। তারাই পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুমান করছে হাসিনা সরকার। তাদের এও ধারণা যে এই ঘটনা ঘটিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটানো তাদের লক্ষ্য। এই সন্দেহকে একেবারেই অবাস্তব হিসেবে ধরছে না বাংলাদেশ সরকারের কেউ কারণ দুর্গা মণ্ডপ থেকে যে কোরান পাওয়া গেছিল সেটা বাংলাদেশে ছাপানো হয়নি। বরং সেটি ছাপানো হয়েছিল সৌদি আরবে।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে হামলা চালায় কয়েকশো দুষ্কৃতী। মণ্ডপ থেকে শুরু করে মূর্তির সমস্ত কিছু ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে ইসকন মন্দিরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধর্মগ্রন্থ কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয় তাদের তরফ থেকে। হিংসার একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করলেই ঘটনার উত্তাপ বাড়তে থাকে গোটা বাংলাদেশ এবং ভারত সহ একাধিক দেশে।