কলকাতা: প্রেমিকার এক ঝলক পেতে কলকাতা থেকে বহরমপুরে ছুটে গিয়েছিলেন প্রেমিক৷ ইচ্ছা ছিল একবার তাঁকে কাছ থেকে দেখার৷ কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করাটা অত সহজ ছিল না৷ কারণ তিনি থাকেন গার্লস হোস্টেলে৷ অতঃপর একটি বুদ্ধি আঁটেন ওই যুবক৷ প্রেমিকার কাছে পৌঁছতে গায়ে জড়িয়ে নেন কালো রং-এর বোরখা৷ ঢেকে নেন মুখ৷ কিন্তু, বিষয়টা যতটা সহজ ভেবেছিলেন, ততটা সহজও ছিল না৷ প্রেমের পথে বাধ সাধল তাঁরই পায়ের জুতো৷ হোস্টেলে ঢোকার আগেই হাতেনাতে ধরা পরলেন প্রেমিক৷ এই ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের৷
আরও পড়ুন- জামিন দূর, অনুব্রতর দেহরক্ষী সিবিআই হেফাজত থেকে এবার জেলে
কিছু দিন আগেই বহরমপুরেই হোস্টেলের বাইরে প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছিলেন কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী৷ সেই স্মৃতি এখনও টাটকা৷ ওই ঘটনার পরই শহরের হোস্টেলগুলিতে নিরাপত্তা আরও কড়া করে দেওয়া হয়েছে৷ সচেতন থাকতে বলা হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের৷ এরই মধ্যে ঘটল এই কাণ্ড৷ মহিলা হোস্টেলে ঢুকতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন যুবক৷
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য এদিন শিয়ালদা থেকে খুব ভোর রাতে ট্রেনে চেপেছিলেন ওই প্রেমিক৷ ভালো করে তখনও আলো ফোটেনি৷, বহরমপুরে পৌঁছে যান তিনি। এরপর স্টেশন থেকে সোজা চলে আসেন তাঁর প্রেমিকার মহিলা হোস্টেলের সামনে৷ মুখ ঢাকতে পরে নেন একটি বোরখা৷ প্রেমিকার বান্ধবী সেজে হোস্টেলে ঢোকার উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ পায়ের দিকে তাকাতেই পর্দা ফাঁস৷ দেখেই সন্দেহ হল প্রতিবেশীদের। তাঁরা দেখেন বোরখার নিচ থেকে উঁকি দিচ্ছিল ছেলেদের জুতো। গায়ে বোরখা পরলেও জুতো পাল্টানোর কথা একেবারে ভুলেই গিয়েছিলেন ওই যুবক। আর সেটাই হল কাল৷
হাতেনাতে ধরা পড়তেই ওই প্রমিকের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা৷ তাঁকে বেশ করে মারধরও করা হয়৷ খবর দেওয়া হয় বহরমপুর থানার পুলিশে৷ পুলিশ এসে হোস্টেলের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় ওই যুবককে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>