কুমিল্লায় কুকির্তী’র নায়ক ইকবাল হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের জালে

কুমিল্লায় কুকির্তী’র নায়ক ইকবাল হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের জালে

3c31e946a1816750cd948fcf6a18d301

ঢাকা: বাংলাদেশের কুমিল্লায় দূর্গা মণ্ডপে কোরান রাখা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেদেশের মৌলবাদীদের তাণ্ডবের ঘটনার তদন্তে নেমে বড়সর সাফল্য পেল পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দূর্গা মণ্ডপে কোরান রাখার দুষ্কর্মটি করেছিল এক তরুণ – কুমিল্লা শহরের শহরের দ্বিতীয় মুরাদপুরের লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। তাকে ইতিমধ্যেই সনক্ত করা গিয়েছে।

সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে,  “কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিলেন শহরের দ্বিতীয় মুরাদপুরের লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। পূজামণ্ডপের আশপাশের বিভিন্ন বাসা-প্রতিষ্ঠান ও শহরের কয়েকটি এলাকার ক্লোজড সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বয়সে তরুণ ইকবাল ‘ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত’—এমন তথ্যও দিচ্ছে পুলিশ।”

পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিব্রত করার জন্যই দুর্গাপুজোর সময় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। সেদেশের অগ্রণী সংবাদমাধ্যম গুলির অন্তর্তদন্তে এই মতামতই উঠে আসছে। দুর্গাপুজোর সময় সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনতার উপর নৃশংস আক্রমণ, পুজো মণ্ডপ ধ্বংস, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকান, সম্পত্তি লুটপাটের মত ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকির পরেও নোয়াখালীতে ইসকন মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

বাংলাদেশের ঘটনর পর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে যে, আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের সরকার বিরোধী বিএনপি, জামাত এবং হেফাজতে’র ষড়যন্ত্র এই ঘটনার পিছনে দেখতে পাচ্ছে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ভয়াবহ আক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’কে চিঠি লিখেছিলেন। ভারতের ডেপুটি হাই-কমিশনার উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক এই আক্রমণের পর তিব্র হয়েছে প্রতিবাদ।  সেদেশের সুশীল নাগরিক সমাদ রাস্তায় নেমেছে। প্রশ্ন তুলেছে, প্রতিবছর দুর্গোৎসব আসে।  হিন্দুরা সরকারের কাছে পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা দাবি জানিয়ে আসেন। এবারওতো ব্যতিক্রম হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়। এবারও তাই হয়েছে। কিন্তু যেসব ঘটনা ঘটল, তা শুধু উৎসবকে ম্লান করেনি, হিন্দু দমনের এই ঘটনার পর আপাত সুশীল সমাজকে বলতে শোনা গিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকেও লজ্জায় ফেলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *