কলকাতা: সারদা মামলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি৷ যাঁরা বিজেপি’তে নাম লেখাচ্ছে তাঁদের আইনের উর্ধ্বে রাখা হচ্ছে৷’’
আরও পড়ুন- বেআইনি শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন কতখানি, কারা জড়িত, FIR করে তদন্ত শুরু ইডি-র
কুণাল আরও বলেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের আদালতকে দেওয়া বিবৃতিতে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের সিবিআই গ্রেফতার করছে না৷ এর আগেও সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে এমন একজনের নাম ছিল তিনি বিজেপি’তে যোগ দিয়ে অসম সরকারের মাথা চলে গিয়েছেন৷ সুর চড়িয়ে কুণাল আরও বলেন, নারদা মামলায় তৃণমূল নেতাদের ধরে আনে সিবিআই৷ কিন্তু, একই মামলায় ক্যামেরার সামনে কাগজে মুড়ে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাঁকে গ্রেফতার করা হল না৷ এই বিষয়টিও রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরা হয়েছে৷
তিনি বলেন, যাঁরা দেশের নীতি নির্ধারক, সিবিআই-ইডি’র উপর যাঁদের নিয়ন্ত্রণ আছে তাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থে এই সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে৷ বিজেপি যেন ওয়াশিংমেশিন৷ বিজেপি’তে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এখন বলছেন সিবিআই-এর উচিত একে ধরে আনা, ওঁর বাড়িতে যাওয়া৷ তিনি নাকি ’২৪ সালে সরকারও ফেলে দেবেন৷ কুণালের কথায়, রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷
তাঁর কথায়, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত৷ কোনও ব্যক্তির বিষয় নয়৷ বিজেপি’তে গেলেই তদন্তের বাইরে, সেটা হতে পারে না৷ এ রাজ্যের বিজেপি’র জনভিত্তি নেই৷ তবে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক৷ তিনি বলেন, উভয়েই নিজেদের বক্তব্য উৎসাহ নিয়েই সমস্ত কথা শুনেছেন৷ বিজেপি দেখায় রাজ্যপাল যেন তাঁদের৷ কিন্তু রাজ্যপালের সকলের উর্ধ্বে থাকা উচিত৷
অন্যদিকে ব্রাত্য বলেন, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্যপালের কাছে আমরা সুবিচার চেয়েছি৷ তিনি আশ্বস্ত করেছেন যথাসম্ভব পদক্ষেপ করা হবে বলে৷ আগামী দিনেও তাঁর সঙ্গে আলোচনা চলবে৷