কলকাতা: কোন কোন সাংসদ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা রাজ্য প্রত্যাহার করেছে, এই প্রশ্ন তুলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এই রিপোর্ট জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে এই তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল। এই সংক্রান্ত একটি টুইটও তিনি করেছেন যেখানে রিপোর্ট চাওয়ার চিঠির ছবি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- মন্দিরে নিয়ে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী! রণক্ষেত্র চন্দ্রকোনা
২০২১ সালের ১ মে’র পরে কোন কোন সাংসদ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেই তথ্যই জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে এখানেই একটি প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। তার ঠিক আগের দিন থেকে কেন রাজ্যপাল সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত তথ্য চাইছেন, সেটাই অনেকের কাছে পরিষ্কার হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ইস্যু নিয়েই ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লাগতে পারে। এর আগে একাধিক বিষয়ের জন্য রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেও তিনি তা পাননি এমন অভিযোগ করেছেন খোদ ধনকড়। তাই এবারেও যে একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হবে না, তা বলা যায় না।
West Bengal Governor Shri Jagdeep Dhankhar has sought from Chief Secretary @chief_west by July 11, 2022 complete information as regards withdrawal of criminal cases against MPs and MLAs by the State Government since May 01, 2021. pic.twitter.com/iBm2q4deiS
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 30, 2022
আবার আচার্য ইস্যু নিয়েও সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। কারণ বৃহস্পতিবারই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার বিল রাজ্য বিধানসভা পাস হয়ে গিয়েছে। যদিও তা আইন হয়নি এখনও। কিন্তু এতে বিরোধ যে বাঁধবে তাও স্পষ্ট।