কলকাতা: একটা সামান্য বানান ঠিক বলতে পারেনি সে। এই ভুলের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল তার ভিডিও। ‘Amrela’ বানান করা উচ্চমাধ্যমিকের সেই পরীক্ষার্থী সুদীপ্তা বিশ্বাস এবং তার পরিবারের জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল এই ট্রোলিংয়ের জন্য। একটা খবরও রটে যায় যে সুদীপ্তা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে! তবে সেসব অতীত। এখন তার ‘রিল’ ভিডিও নিয়েও চর্চা হচ্ছে জোরদার। তাই এখন সুদীপ্তা নিজেই মুখ খুলল সব কিছু নিয়ে।
আরও পড়ুন- রাজ্যপাল সই না করলে শিশুসুলভ আচরণ হবে, আচার্য বিল নিয়ে কটাক্ষ চন্দ্রিমার
একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে সে জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে তার একটা রিল ভিডিও ছিল। সেখান থেকে একটা রোস্ট ভিডিও করেছে অনেকে। কেউ কি ওই ভিডিও কবে আপলোড করা হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে, এই প্রশ্ন তুলেছে সে। তার কথায়, ”তোমরা আমাকে নিয়ে ট্রোল ভিডিও করেছ, রোস্ট করেছ, মিম তৈরি করেছ, তারপর ফেক খবর ছড়িয়েছো। আমি নাকি মারা গিয়েছি। আমি সবটাই মেনে নিয়েছি।” কিন্তু সে আর্জি করছে যাতে এইবার ট্রোল করা বা তাদের নিয়ে হাসাহাসি করা বন্ধ হয়। পাশাপাশু এটাও স্পষ্ট করেছে যে নিজেকে বদলাবেন না সে।
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকে ইংরাজিতে অকৃতকার্য হয়ে স্কুলের সামনেই রাস্তার উপরয় বিক্ষোভে বসেছিলেন কিছু ছাত্রী৷ তাঁদেরই একজন সুদীপ্তা৷ তিনি ছিলেন আন্দোলনের একেবারে প্রথম সারিতে৷ বিক্ষোভের খবর করতে আসা এক সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন কেন বিক্ষোভ করছেন তাঁরা? জবাবে সুদীপ্তা বলেছিলেন,‘‘আমরা সব বিষয়ে পাশ করেছি৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেটার পেয়েছি৷ অথচ আমাদের ইংরাজিতে ফেল করানো হয়েছে৷’’ এর পরেই তাঁর কাছে ‘Umbrella’ বানান জানতে চান ওই সাংবাদিক৷ বেশ কয়েকবার হোঁচট খেয়ে সুদীপ্তা বলেন, ‘Amrela’৷ এই ভিডিয়ো ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়৷ শুরু হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-ঠাট্টা৷