কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে কী হচ্ছে তা সকলের জানা। বাংলার শাসক দল এই ইস্যুতে বিরাট চাপে আছে কারণ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং নেতার নাম জড়িয়েছে এই কেলেঙ্কারিতে। আদালতের নির্দেশে এই ইস্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। এক কথায়, রাজ্যের এই মুহূর্তে যারা শিক্ষকতায় আছেন তাদের অধিকাংশের ঘুম উড়েছে। কারণ নিত্য নতুন নির্দেশ আসছে। এবার রাজ্যে প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ-নথি জমা দিতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তারা জানিয়েছেন, এইসব নথি সিবিআই চেয়েছে তদন্তের স্বার্থে।
আরও পড়ুন- GST-র কোপে খরচ বাড়বে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা! স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগে নবান্ন
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সম্প্রতি এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তাদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। তাই রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাদের এখন চাই এবং সেই প্রেক্ষিতেই সেই নথি তারা জমা দিতে বলেছে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষকদের। ২০১১ সালের পর অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সকলে নিয়োগ হয়েছেন। তাদের সকলেরই তথ্য হাতে চেয়েছে সিবিআই। সংখ্যায় বলতে গেলে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের সকলের নথি পাঠাতে হবে। আগামী বুধবারের মধ্যে এই নথি প্রাথমিক শিক্ষ সংসদের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে৷ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন নিয়োগের আগে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হল না? সেই সঙ্গে এক্ষেত্রে অর্থের লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানতে ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন মামলাকারী।