কলকাতা: বাংলার রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছে জগদীপ ধনখড়৷ লড়ছেন উপ রাষ্ট্রপতি পদে। এহেন আবহে বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপাল৷ তবে শীঘ্রই স্থায়ী রাজ্যপাল মনোনীত করা হবে বলেই কেন্দ্র সূত্রের খবর৷ জানা গিয়েছে, বাংলার রাজ্যপালের দৌড়ে বেশ কয়েকটি নাম থাকলেও তাতে এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু-পিতা শিশির অধিকারী৷ ইতিমধ্যে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বাংলা রাজনীতির অন্দরেও৷ সোমবার সেই চর্চ্চাকেই সুনামী পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন স্বয়ং শুভেন্দু-পিতা৷
এদিন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভোটে যোগদান দিয়ে বেরানোর পর শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘এখান থেকে এইমসে যাব শারীরিক কিছু চিকিৎসার প্রয়োজনে৷’’ খানিক থেমে নিজেই যোগ করেছেন, ‘‘প্রশাসনিক কাজে আমার দক্ষতা রয়েছে। যাঁরা দায়িত্ব দিচ্ছেন তাঁরা দয়া করে আমাকে দায়িত্ব দিলে, তা পালন করব।” স্বভাবতই, রাজ্যপাল ইস্যুতে চর্চ্চায় আরও বেশি করে উঠে আসছে শিশিরবাবুর নাম৷ কারণ, রাজনৈতিক মহলের অভিমত, পরোক্ষে শিশিরবাবু নিজেই সেই ইঙ্গিত এদিন স্পষ্ট করে দিলেন৷
বস্তুত, ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ৫ টা ২১ মিনিট৷ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মণিপুরের রাজ্যপাল এল এ লা গনেশান৷ অস্থায়ীভাবে বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তাঁকে স্বগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।- এটা খবর নয়৷ তবে খুব শীঘ্রই আবারও বাঙালি রাজ্যপাল পেতে চলেছে বাংলা৷ এই কানাঘুষো ছিলই৷ সূত্রের খবর, বড়সড় অঘটন না ঘটলে বাংলার রাজভবনে আগামীদিনে দেখা যেতে পারে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের মালিককে৷ তিনি শিশির অধিকারী৷ এদিন শিশিরবাবুর নিজের বয়ানের পর সেই জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে৷