কলকাতা: ‘ভাগ্য’ ফেরাতে এবার সাধুবাবা’র দরবারে এ রাজ্যের শাসক দলের নেতারা৷ এটুকুতেই শেষ নয়, জোড় গুঞ্জন এ সাধুবাবা না কী আবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘লোক’। নেতাদের কেউ সকালে তো কেউ আবার বিকেলে ছুটছেন তাঁর কাছে৷ সেই তালিকায় রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থপ্রতিম রায়, গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, উদয়ন গুহরা৷ তাঁদের মাথায় হাত রেখে মন ভরে আশীর্বাদ করেছেন সাধুবাবা৷
আরও পড়ুন- সরকারে এসেও কথা রাখেনি তৃণমূল, আজও অনটনেই কাটে ‘শহিদ’ কর্মী পরিবারের দিন
বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সাধুসঙ্গ তবে নতুন বিষয় নয়৷ বাবা রামদেবের কৃপায় নাকি সাংসদ হয়েছিলেন এক সঙ্গীত শিল্পী। খেলায় জয় ছিনিয়ে আনতে স্বামী বাপা মোহান্তের আশ্রমে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। এবার প্রচারের আলোয় কোচবিহারের এই সাধুবাবা, যিনি মণিবাবার আশ্রমের মহারাজ নামে পরিচিত৷ তাঁর কৃপায় কার ভাগ্যের চাকা ঘোরে, সেটাই দেখার৷ তবে কোচবিহারের নেতাদের এই কীর্তি দেখে মুখ টিপে হাসছেন অনেক নেতা৷
এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ অবশ্য বলেন, “আমাদের কপাল তো আর খারাপ নয় যে ফিরবে। এমনটা ভাবার কারণ নেই৷ স্টেশনের কাছেই আশ্রম। তাই গিয়ে দেখা করে এসেছি। সেখানে মন্দির রয়েছে। পুজো দিয়েছি।” খানিকটা একই সুর শোনা গেল পার্থপ্রতিমের গলায়। তাঁর কথায়, “ওই আশ্রমে বহু মানুষ আসেন। সাধু মহারাজ সবার সঙ্গে কথা বলেন। আমরাও গিয়েছি। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। তিনি সঙ্ঘের লোক কি না আমি জানি না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি সব সময় ভাল কথা বলেন, এটুকু বলতে পারি।”
সূত্রের খবর, শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন, সোমবার ওই আশ্রমে মহারাজের সঙ্গে নাকি চার ঘণ্টা কাটিয়ে এসেছেন গিরীন্দ্রনাথ৷ আশ্রমে পুজো দিয়ে গরিব মানুষকে দান-ধ্যানও করেছেন৷ তাঁর কথায়, “সৌম্যদর্শন মানুষটিকে প্রথমবার দেখেই ভাল লেগেছিল। সেই থেকে আশ্রমে যাতায়াত। যতদূর জানি উনি তিনি রাজনীতির লোক নন৷” উদয়নের আবার সাফ কথা, “সবাই পাওয়ার জন্যেই তাঁর কাছে যায়, এমন ভাবনাটা বোধ হয় ঠিক নয়।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>