কলকাতা: দু’বছর বাদে কলকাতার ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ। ২১ জুলাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগেই জানা গিয়েছিল যে, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কালীঘাটে তাঁর বাসভবন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি বাসভবন থেকে ধর্মতলায় সভামঞ্চ পর্যন্ত যে রাস্তা দিয়ে তাঁর কনভয় যাবে তার দুই দিকেও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে। মঞ্চে প্রবেশের সময় মমতার জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও রাস্তাঘাটেও নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সৌরভের পরিবারে ফের করোনার থাবা, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মূল মঞ্চের নিরাপত্তাকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম জোনকে তিন ভাগ করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ভাগের দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন। দ্বিতীয় জোনকে সাতটি ভাগে ভাগ করে নজরদারি চালানো হবে। পাঁচ জায়গায় বাড়ির ছাদ থেকে নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও থাকছে ড্রোন ক্যামেরা ও ভিডিওগ্রাফি। তৃতীয় জোনকে পাঁচটি ভাগ করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা শহরটিকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে পুলিশ পিকেট ছাড়াও একজন করে ডিসির নেতৃত্বে ৮০ জন করে পুলিশ মোতাযেন থাকবে। পাশাপাশি তিনটি পার্কিং জোন করা হয়েছে। এ জোনে সাতটি, বি জোনে পনেরোটি এবং তৃতীয় জোনে ১৯টি পার্কিং প্লেস রাখা হয়েছে। পনেরোটি জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আসলে কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক যুবক ঢুকে পড়ায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও তা ভেদ করে সে তাঁর বাড়ি ঢুকে প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টা সেখানে থাকতে সক্ষম হয়। আপাতত সে জেলবন্দি কিন্তু তার থেকে অনেক তথ্যই পেয়েছে পুলিশ যা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। যেমন, ওই যুবক মমতার বাড়ির ছবি তুলে কাউকে পাঠিয়েছে, তার থেকে উদ্ধার হয়েছে অনেক সিম কার্ড। এমনকি সে এক সময়ে বাংলাদেশেও গিয়েছিল। তাই অবশ্যভাবে ২১ জুলাইয়ের জন্য আলাদাভাবে নিরাপত্তা আরও কঠোর হল। পাশাপাশি পুলিশের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবন রোড, স্ট্যান্ড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, বেন্টিংক স্ট্রিট একমুখী থাকবে বলে জানানো হয়েছে।